উপদেশ গল্প- তোতার কষ্ট
তোতার কষ্ট
-মোঃ মিনহাজ উদ্দীন
সবুজ
শ্যামল সুন্দর পরিবেসে স্বাধীন ভাবে উড়ে চলে এক পাখি- তোতা। সেই হঠাৎ বন্দী হয় এক শিকারীর
হাতে। তাকে বন্দী করে রাখা হয় এক নীরব কুঠিরে। এভাবেই কাটে তার জীবন। প্রতিদিনই পৃথিবীর
বিভিন্ন প্রান্ত থেকে তারই অসংখ্য সাথীরা খোলা আকাশে উন্মুক্ত বিহঙ্গের মত ঘোরাফেরা
করে। আবার সাঝের বেলাই আপনা নীড়ে ফিরে যায়। তার দুঃখের কথা শুনারমত যেনো কেউ নেই। অজশ্রু
ঝড়ে পড়ছে তার ছোট দু’টি আঁখি হতে।
কাঁদতে
কাঁদতে ক্লান্ত হয়ে এক সময় তোতা নিথর হয়েগেল, হঠাৎ একটা ক্ষীন আওয়াজের প্রতিধ্বনীতে
তোতা প্রাণ বন্ত হল। খাচার পাশে টুনটুনি উপস্থিত।
তোতাঃ
তুমি এখানে এলে কিভাবে?
টুনটুনিঃ
জানালার ছোট ফাক দিয়ে। তুমি কেমন আছ তোতা ভাই?
তোতাঃ
ভালোনা, একদম ভালোনা, খুবই ব্যথিত হৃদয়ে কথাটি
বল্ল তোতা-
মানুষতে
পৃথিবীর শ্রেষ্ঠ জীব। তারা কি আমাদের মত ক্ষুদ্র জীবের দুঃখটুকু বুঝেনা।
কেনো
আমাদেরকে আটকিয়ে রেখে স্বাধিনতা হনন করে।
কেন
তারা দুঃখের নদীতে ভাসাই আমাদের প্রতিটি মুহূর্ত। ভাই টুনটুনি! তুমি আমার মত অসংখ্য
সাথীদের দুঃখের কথাগুলো শ্রেষ্ঠ জীবকে জানিয়ে দিবে।
ইথারে
ইথারে জানিয়ে দিবে আর্তনাতের প্রতিধ্বনি, জানিয়ে দিবে, আমরা বড় অসহায় খুবই সংক্ষিপ্ত
আমাদের জীবন, আমাদেরকে আটকে রাখলে আমরা কষ্ট পাই। খুবই কষ্ট পাই।
মন্তব্যসমূহ
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন