হযরত মুয়ায ইবনে জাবাল রাঃ এর জীবনী


হযরত মুয়ায ইবনে জাবাল রাঃ ছিলেন একজন প্রখ্যাত সাহাবী। মহানবী সাঃ তাঁকে অত্যন্ত ভালোবাসতেন।
১। নাম ও পরিচয়ঃ তাঁর নাম মুয়ায, উপনাম আব্দুল্লাহ বা আবু আবদির রহমান। পিতার নাম জাবাল। তিনি মদীনার বিখ্যাত খাযরাজ গোত্রীয় একজন আনসার সাহাবী ছিলেন।
২। ইসলাম গ্রহণঃ নবুয়তের দ্বাদশ সালে যখন মদীনায় ইসলাম প্রচার শুরু হয় তখনই তিনি ইসলামের ছায়াতলে আশ্রয়গ্রহণ করেন। এ সময় তাঁর বয়স হয়েছিল ১৮ বছর । তিনি দ্বিতীয় আকাবায় রাসূল সা: এর হাতে বাইয়াত গ্রহণকারী সাতজন আনসারের অন্যতম।
৩। যুদ্ধে অংশগ্রহণঃ বদর ব্যতীত অন্যান্য সকল যুদ্ধে হযরত মুয়ায রা: অংশগ্রহণ করেন। কেউ কেউ বলেন, যেহেতু তিনি দ্বিতীয়  আকাবায় ইসলাম গ্রহণ করেন, তাই তিনি বদর যুদ্ধেও অংশগ্রহণ করার সৌভাগ্যলাভ করেছেন।
৪। চারিত্রিক গুণাবলিঃ হযরত মুয়ায ইবনে জাবাল রাঃ ছিলেন অনন্য গুণাবলির অধিকারী। সততা, মহত্ত্ব, বীরত্ব, কোমলতা, ধার্মিকতা প্রভৃতি ছিল তার চারিত্রিক ভূষণ।
৫। তাঁর মর্যাদাঃ হযরত মুয়ায ইবনে জাবাল রাঃ অত্যন্ত মর্যাদাপূর্ণ সাহাবী ছিলেন। আকাবার দ্বিতীয় শপথের সময় রাসুল সা: তাঁকে লক্ষ্য করে বলেন- মুয়ায কতইনা উত্তম পুরুষ।
৬। রাষ্ট্রীয় দায়িত্ব পালনঃ মক্কা বিজয়ের পর রাসূল সা: ইয়ামেনের গভর্ণর হিসাবে নিযুক্ত করেন। হযরত আবু বকর ও হযরত ওমর রা: এর শাসনামলেও বিভিন্ন দায়িত্ব পালন করেছেন।
৭। হাদিস বর্ণনাঃ তিনি রাসূল সা: হতে সর্বমোট ১৫৭/১৭৫ টি হাদিস বর্ণনা করেছেন। ইমাম বুখারী ও মুসলিম রহ: যৌথভাবে ২ টি আর এককভাবে ইমাম বুখারী ৩টি ও মুসলিম ১ টি হাদিস বর্ণনা করেন।
৮। ইন্তেকালঃ ইসলামের এ একনিষ্ঠ মহান সাধক ১৮ হিজরীতে ৩৮ বছর বয়সে হযরত ওমর রা: এর শাসনামলে ত্বয়ুন ইমওয়াস নামক মহামারীতে আক্রান্ত হয়ে ইহধাম ত্যাগ করেন। বায়তুল মুকাদ্দাস ও দামেশকের মধ্যবর্তী বাইসান নগরীতে তাঁকে দাফন করা হয়।



মোঃ মিনহাজ উদ্দীন







মন্তব্যসমূহ

এই ব্লগটি থেকে জনপ্রিয় পোস্টগুলি

কোরবানীর আভিধানিক ও পারিভাষিক সংজ্ঞা, কোরবানীর সূচনা।

মাইক্রোসফট ওয়ার্ড শিখুন।