পোস্টগুলি

জুলাই, ২০১৬ থেকে পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে

নিয়োগ বিগপ্তিঃ

ছবি
                                                                        নিয়োগ বিগপ্তিঃ                                 ****************** শেরপুর শহরের প্রাণ কেন্দ্রে অবস্থিত ঐতিহ্যবাহী জামিয়া সিদ্দীকিয়া তেরাবাজার, মাদ্রাসায় 3 ( তিন) জন সহকারী শিক্ষক আবশ্যক। 1. দুই জন উচ্চমধ্যমান, ( জামাতে মিশকাত) পর্যন্ত পড়ানোর যোগ্যতাসম্পন্ন হতে হবে।            শর্তাবলীঃ (ক) দাওরায়ে হাদিস প্রথম বিভাগ (বেফাক বোর্ড) হতে হবে।                           (খ) তিন বছরের অভিজ্ঞতা সম্পন্ন হতে হবে।                            (গ) জামিয়ায় আবাসিক অবস্থান করতে হবে।                            (ঘ) তাখাসসুস ফিল হাদিস অথবা তাখাসসুস ফিল আদব ডিগ্রী ধারীদের অগ্রাধিকার থাকবে। 2.    এক জন মধ্যমান ( জামাতে শরহে বেকায়া ) পর্যন্ত পড়ানোর যোগ্যতাসম্পন্ন হতে হবে।           শর্তাবলীঃ     (ক) কমপক্ষে দাওরায়ে হাদিস দ্বিতীয় বিভাগে ( বেফাক বোর্ড) উত্তীর্ণ হতে হবে।                              (খ) জামিয়ায় আবাসিক অবস্থান করতে হবে। আগ্রহী প্রার্থীগণকে আবেদন পত্রের সাথে 2 (দুই) কপি পাসপোর্ট সাইজের ছবি, আইডি কার্ড/জন্ম নিবন্ধ

ইসলাম

ইসলাম আরবী শব্দ। এর আভিধানিক অর্থ অনুগত হওয়া, আনুগত্য করা, আত্মসমর্পন্ত করা, শান্তির চথে চলা ও মুসলমান হওয়া। পারিভাষিক অর্থঃ আল্লাহর অনুগত হওয়া, আনুগত্য করা ও তাঁর নিকট পূর্ণ আম্তসমর্পণ করা। বিনা দ্বিধায় তাঁর আদেশ-নিষেধ মেনে চলা এবং তাঁর দেয়া জীবন বিধান অনুসারে জীবনযাপন করা। যিনি ইসলামের বিধান অনুযায়ী জীবন যাপন করেন, তিনি মুসলিম। ইসলাম আল্লাহর মনোনীত একমাত্র দ্বীন, যা একটি পূর্ণঙ্গ ও পরিপূর্ণ জীবন বিধান। দোলনা থেকে  কবর পর্যন্ত এ ব্যবস্থার আলোকে একজন মুসলমানকে জীবনযাপন করতে হয়। ইসলামে রয়েছে সুষ্ঠু পারিবারিক, সমাজ, রাষ্ট্র ও অর্থব্যবস্থা। রয়েছে জাতীয় ও আন্তর্জাতিক নীতিমালা। মানব চরিত্রের উৎকর্ষ সাধনের যাবতীয় আচার- আচরণ সম্পর্কে ইসলাম সুন্দর দিক নির্দেশনা দিয়েছে। এ প্রসঙ্গে আল্লাহপাক বলেন, ‘ইসলাম আল্রাহর মনোনিত দ্বীন’। ( সুরা আল ইমরান)

ভুল বিশ্বাস ‘ পরকালে লাইলি-মজনুর বিয়েতে শরিক হও’য়াঃ’

ছবি
যে ব্যক্তি জীবনে কখনও দাড়ি কাটবে না, সে ব্যক্তি পরকালে লাইলি-মজনুর বিয়ে খাবে। এমন কথা আমাদের সমাজে প্রচলিত আছে। মূলত এটা একটি ভুল বিশ্বাস। আমাদের সমাজের সাধারণ মানুষের মাঝে অনেকেই এ ভুল ধারণাটা পোষণ করে থাকে, যা একেবারেই ভিত্তিহীন। প্রথমত পরকালে লাইলি-মজনুর বিয়ের কথাটাই একটা ভিত্তিহীন কথা। এরপর দাড়ি কাটা না কাটার সঙ্গে এর সম্পৃক্ততা একেবারেই কল্পনাপ্রসূত। দাড়ি রাখা ও না-কাটার প্রতি উদ্বুদ্ধ করার জন্য অনেক সহীস স্পষ্ট হাদীস রয়েছে। এ ছাড়া এটি সকল নবী আলাইহিমুস সালামের সুন্নত ছিল। একে মুসলমানের ফিতরাত বা স্বভাব বলা হয়েছে। এ-কথাগুলো বলেই দাড়ি রাখার প্রতি উদ্বুদ্ধ করা উচিত। দাড়ি রাখা ওয়াজিব এবং এক মু্ষ্ঠির কম করা না-জায়েয, এ বিধান সবারই জানা।

সালাম দেওয়ার একটা ভুল পদ্ধতিঃ

ছবি
বিভিন্ন সভা-সমাবেশে বক্তৃতা করার ক্ষেত্রে দেখা যায়, বক্তাগণ মাইকের সামনে দাঁড়িয়ে সুদীর্ঘ বন্দনার অবতারণা করার পর সালাম দেন। এ রীতিটা ভুল। যেমন বলে থাকেন, ‘মঞ্চে উপবিষ্ট শ্রদ্ধেয় সভাপতি, মাননীয় পরিচালক, মান্যগণ অমুক সাহেব ও আমার শ্রোতাবন্ধুরা, আস্সালামু আলাইকুম’।নিয়ম হল শ্রোতাদের মুখোমুখি হওয়ার সাথে সাথে সালাম দেওয়া। সাক্ষাতের নিয়মাবলির ক্ষেত্রে সর্বপ্রথম সালামের কথাই বলা হয়েছে।  

একটি নামের ভুল ব্যবহার

আমাদের দেশে কাজের ছেলেকে আব্দুল নামে ডাকার একটি ভুল প্রচলন রয়েছে। ভিন্ন নাম থাকা সত্ত্বেও দেখা যায় এদেরকে ‘আব্দুল’ নামে ডাকা হয়। আরবীতে ‘আব্দুন’ শব্দের অর্থ দাস বা গোলাম। এ নামটি হয়ত ‘আব্দুল্লাহ’ ( আল্লাহর বান্দা) এর সংক্ষিপ্ত রূপ। এ কারণেই আব্দুল্লাহকে ‘আব্দুল’ (যার অর্থ ‘দাস’) বলে ডাকা উচিত নয়। প্রকৃতিগতভাবে আযাদ ও স্বাধীন কোন বান্দাকে আল্লাহর বান্দা না বলে ‘বান্দা’ বা ‘দাস’ এর পরিচায়ক আব্দুল বলে ডাকা নিঃসন্দেহে অন্যায় এবং বেয়াদবি। একজন মানুষ গৃহপরিচারক হয়ে তো দাস হয়ে যায়নি! তাই পাঠক বন্ধুগণের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি, এই কথাটি হয়ত এর আগে আপনি জানেননি, তাই অন্যের কাছে পৌছে দেওয়ার জন্য বিশেষভাবে অনুরোধ করছি।   

মুসলমানের অতীত গৌরব

মুসলমানদের অতীত গৌরবঃ অন্ধকারে নিমজ্জিত মরু আরবে ইসলামের আলো জ্বালিয়েছিলেন বিশ্বনবী হযরত মুহাম্মদ সা:। আইয়ামে জাহেলিয়ার অবসানে বিশ্ব যেন আলোর জোয়ারে উদ্ভাসিত হয়েছিল। মহানবী সা: এর মহাপ্রয়াণের পরে খোলাফায়ে রাশেদীনের আমলেও ইসলাম তার আপন জ্যোতি ছড়িয়ে দিয়েছিল দুনিয়ার কোণে কোণে। মরু আরবের সে আলো আফ্রিকা, ইউরোপ এমনকি ভারতবর্ষকেও আলোকিত করেছিল। সাড়া বিশ্বে মুসলমানদের পতাকা উড্ডিন হয়েছিল। মুসলমানরা তাদের খোদাভক্তি, চারিত্রিক দৃঢ়তা এবং ব্যক্তিত্বের মাধ্যমে গৌরবমণ্ডিত সভ্যতা সৃষ্টি করেছিল। মুসলমানদের বর্তমান দুর্দশা: মুসলমানরা বর্তমানে দুর্দশার অতল গহবরে নিমজ্জিত। তাদের উত্থান ও উজ্জীবনের সকল দুয়ার বন্ধ হয়ে গেছে। আগের মতো তাদের শৌর্যবীর্য আর জগৎকে চমকিত করে না। বিজ্ঞানে, সাহিত্যে, রসায়নশাস্ত্রে, গণিতে, পদার্থবিদ্যায়-মোটকথা, জ্ঞানের সকল শাখায় নেতৃত্ব দিত মুসলমানরা। সে অতীত গৌরব এখন কেবলই সুখ-স্মৃতি। মুসলমানরা এখন ঘুঘোরে আচ্ছন্ন। পরাধীনতার শৃঙ্খলে মুসলিম জাতিঃ   মুসলমান ছিল স্বাধীনচেতা, কিন্তু এখন তারা পরাধীন। জ্ঞান-বিজ্ঞান, শাসন ক্ষমতাসহ কোথাও তাদের উচ্চাসন নেই। সারা বিশ্বে যখন নব

কবিতা: বিজয় মানে

ছবি
বিজয় মানে ============ বিজয় মানে রক্তে ভাসা সিক্ত তাজা ফুল, বিজয় মানে অথৈ জলে ভাগ্যে পাওয়া কুল। বিজয় মানে আধার ক্ষণে দীপ্ত আলোর মুখ, বিজয় মানে খুনের দানে দুঃখ মাঝে সুখ। বিজয় মানে ফুলের ঘ্রাণে মুগ্ধ আকুল প্রাণ, বিজয় মানে ক্ষণে ক্ষণে তপ্ত খুনের ঘ্রাণ। বিজয় মানে মায়ার টানে তৃপ্ত সুখের জল, বিজয় মানে উন্নতশির দক্ষ সেনা দল। বিজয় মানে প্রাণে প্রাণে বাঁধভাঙ্গা উল্লাস, বিজয় মানে মনের কোনে উথিত উচ্ছাস। বিজয় মানে গঞ্জে গ্রামে শিশুর লুকোচুরি, বিজয় মানে আকাশপানে নিশান উড়োউড়ি। বিজয় মানে গানে গানে কণ্ঠ সবার ভার, বিজয় মানে হস্তে নিশান মুক্ত খোলা দ্বার। বাঁধনহারা শিশু কিশুর মুক্ত আকাশ ভুম, সূর্য স্বাধীন দ্বিপ্ত রঙ্গীন রক্তে আঁকা চুম। সর্বপরি প্রাপ্ত বিজয় মহান প্রভুর দান, শত্রুসেনার গর্ড যত যুদ্ধে হলো ম্লান। বিজয় মানে লক্ষপ্রাণে বক্ষ উদার দিল, বিজয় মানে শত্রু পানে ছুড়ছি ঘৃণার ঢিল।