মুসলমানের অতীত গৌরব




মুসলমানদের অতীত গৌরবঃ
অন্ধকারে নিমজ্জিত মরু আরবে ইসলামের আলো জ্বালিয়েছিলেন বিশ্বনবী হযরত মুহাম্মদ সা:। আইয়ামে জাহেলিয়ার অবসানে বিশ্ব যেন আলোর জোয়ারে উদ্ভাসিত হয়েছিল। মহানবী সা: এর মহাপ্রয়াণের পরে খোলাফায়ে রাশেদীনের আমলেও ইসলাম তার আপন জ্যোতি ছড়িয়ে দিয়েছিল দুনিয়ার কোণে কোণে। মরু আরবের সে আলো আফ্রিকা, ইউরোপ এমনকি ভারতবর্ষকেও আলোকিত করেছিল। সাড়া বিশ্বে মুসলমানদের পতাকা উড্ডিন হয়েছিল। মুসলমানরা তাদের খোদাভক্তি, চারিত্রিক দৃঢ়তা এবং ব্যক্তিত্বের মাধ্যমে গৌরবমণ্ডিত সভ্যতা সৃষ্টি করেছিল।
মুসলমানদের বর্তমান দুর্দশা: মুসলমানরা বর্তমানে দুর্দশার অতল গহবরে নিমজ্জিত। তাদের উত্থান ও উজ্জীবনের সকল দুয়ার বন্ধ হয়ে গেছে। আগের মতো তাদের শৌর্যবীর্য আর জগৎকে চমকিত করে না। বিজ্ঞানে, সাহিত্যে, রসায়নশাস্ত্রে, গণিতে, পদার্থবিদ্যায়-মোটকথা, জ্ঞানের সকল শাখায় নেতৃত্ব দিত মুসলমানরা। সে অতীত গৌরব এখন কেবলই সুখ-স্মৃতি। মুসলমানরা এখন ঘুঘোরে আচ্ছন্ন।
পরাধীনতার শৃঙ্খলে মুসলিম জাতিঃ  মুসলমান ছিল স্বাধীনচেতা, কিন্তু এখন তারা পরাধীন। জ্ঞান-বিজ্ঞান, শাসন ক্ষমতাসহ কোথাও তাদের উচ্চাসন নেই। সারা বিশ্বে যখন নবজাগরণের জোয়ার এসেছে, তখনো মুসলিম জাতির অবচেতন ঘুম ভাঙেনি। শৃঙ্খলিত ঘুমঘোরে নিমজ্জিত এ জাতির প্রতি কবি বিষ্ময়ভরা জিজ্ঞাসা-
             দুয়ারে তোমার সাত সাগরের জোয়ার এনেছে ফেনা,
              তবু জাগলে না? তবু জাগলে না?
দুয়ারে অসংখ্য ক্ষুধিত মানুষের ভিড়, সাপের গর্জন, জাতি আজ ভুল পথে এগিয়ে চলছে, যাক কারণে তারা ক্রমাগত পতনের দিকে অগ্রসরমান। এ সময় মুসলিম জাতির কর্ণধারকে জেগে উঠতে হবে। তাদের ভুলে গেলে চলবেনা অতীত গৌরব। কবির ভাষায়-
         ভুলেছ কি সেই প্রথম সফল জাহাজ চলেছে ভেসে
                    অজানা ফুলের দেশে।


মন্তব্যসমূহ

এই ব্লগটি থেকে জনপ্রিয় পোস্টগুলি

কোরবানীর আভিধানিক ও পারিভাষিক সংজ্ঞা, কোরবানীর সূচনা।

মাইক্রোসফট ওয়ার্ড শিখুন।

হযরত মুয়ায ইবনে জাবাল রাঃ এর জীবনী