পোস্টগুলি

সেপ্টেম্বর, ২০১৬ থেকে পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে

গুনাহের ক্ষতিসমূহ

সঠিক ইলম থেকে বঞ্চিত হয়।  রিযিক কমে যায়।  আল্লাহ তায়ালার সাথে দূরত্ব সৃষ্টি হয়।  ভাল ও নেককার লোকদের সাথে দূরত্ব সৃষ্টি হয়।  অধিকাংশ কাজে মুশকিলে পড়তে হয়।  আত্মার পরিচ্ছন্নতা দূর হয়ে ময়লা জমে যায়।  অন্তরে এবং শরীরে বিভিন্ন সময় দুর্বলতা সৃষ্টি হয়।  ইবাদত থেকে বঞ্চিত হতে হয়।  বয়স মে যায়।  আল্লাহ তায়লার নিকট অপদস্ত হয়ে যাওয়া।  গুনাহর দরুন অন্য মানুষের কষ্ট হয় এবং মানুষ তার উপর লানত করে।  জ্ঞান-বুদ্ধি কমে যায়।  রাসূল সা: এর পক্ষ থেকে তার উপর লানত হয়।  ফেরেশতাদ্বয় তার জন্য দুয়া ছেড়ে দেয়।  ফসলাদি কমে যায়।  লজ্জা শরম কমে যায়।  আল্লাহ তায়লার বড়ত্ব ও মহত্ব অন্তর থেকে চলে যায়।  নিয়ামতসমূহ দিন দিন কমে যায়।  বালা মুসীবত একের পর এক আসতেই  থাকে।  তার উপর শয়তান নির্ধারিত হয়ে যায়।  দিল সর্বদা পেরেশান থাকে।  মৃত্যুর সময় মুখ দিয়ে কালেমা বের হয় না।  আল্লাহ তায়ালার রহমত থেকে নৈরাশ হয়ে যাওয়া এবং এ কারণে তওবা ছাড়া মৃত্যুবরণ করে থাকে।  ( বেহেশতী জেওর, প্রথম খন্ড, পৃষ্ঠা ৪৪)

বাংলা বলতে কোন অঞ্চলকে বুঝায়?

ছবি
বাংলা ভৌগলিকভাবে কোথায় অবস্থিত? প্রাচীনকালে বাংলা বলতে সমগ্র বাংলাদেশ এবং পশ্চিমবঙ্গকে বুঝাত না। এর বিভিন্ন অঞ্চল বিভিন্ন নামে পরিচিত ছিল। একক বাংলা কখন থেকে শাসন হতে থাকে তা বল মুশকিল তবে বর্তমান পশ্চিম বাংলা এবং বাংলাদেশ নিয়ে একটা ভৌগলিক ইউনিটে বাংলা গঠিত ছিল। নীহার রঞ্জণ রায়ের ভাষায়, “ এক দিকে সুউচ্চ পর্বত, দুইদিকে কঠিন শৈলভূমি আর একদিকে বিস্তীর্ণ সমুদ্র; মাঝখানে সমভূমির সাম্য এটি বাঙালির ভৌগলিক ভাগ্য। মোটামুটিভাবে ১৯৪৭ এর পূর্বে ব্রিটিশ ভারতের ‘বেঙ্গল’ প্রদেশের ভূখণ্ডই বাংলা নামে পরিচিত ছিল। এটা পূর্ব বাংলা তথা বাংলাদেশ এবং ভারতের পশ্চিমবঙ্গ নিয়ে গঠিত ছিল। ইতিহাসের দৃষ্টিতে এ ভূখণ্ডের একটি আঞ্চলিক সত্তা ছিল এবং ভৌগলিক গণ ও ‘বাংলা’কে একটি ভৌগলিক অঞ্চল বলে স্বীকার করে নিয়েছেন। প্রায় ৮০,০০০ বর্গমাইল বিস্তৃত নদী বিধৌত পলি দ্বারা গঠিত এক বিশাল সমভূমি এ বাংলা। বাংলার পূর্বে ত্রিপুরা, গাবেয় ও লুঘাই পর্বতমালা; উত্তরে শিল্প মালভূমি ও নেপালের তরাই অঞ্চল। বাংলার পশ্চিমের সীমায় রাজমহল ও ছোট নাগপুর পর্বতরাজির উচ্চভূমি এবং দক্ষিনে বঙ্গোপসাগর। সমুদ্রোপকূলবর্তী নিম্নভূমি জঙ্গলকীর্ণ এ জন্

বিনোদন মূলক ভিডিও

ছবি
একটি ইসলামীক বিনোদন মূলক ভিডিও যা দেখলে আপনি অবশ্যয় হাসবেন।

দুঃখের মতো এত বড় পরশপাথর আর নেই।

এই পৃথিবীতে প্রতিটি মানুষের জীবনে রয়েছে সুখ-দুঃখের সহাবস্থান। একটিকে ছাড়া অন্যটিকে মানুষ সঠিকভাবে উপলব্ধি করতে পারে না। দুঃখের সংস্পর্শে না এলে মানুষের স্বীয় সত্তা ও অন্তর শক্তি সঠিকভাবে জাগ্রত হয় না। দুঃখের পরশেই মানুষের  বিবেক জাগ্রত হয়, মানুষের জীবন হয় মানবিক বোধে আলোকিত, মানুষ হয়ে উঠে মহানুভব, মহীয়ান। দুঃখই মানুষের সকল দৈন্য দূর করে তাকে খাঁটি মানুষে পরিণত করে। সুখবিলাসী মানুষ জীবনের সারবত্তা পুরোপুরি উপলব্ধি করতে পারে। দুঃখের দারুন দহন শেষে মানুষের জীবনে যে সুখ আসে তা অনাবিল ও অতুলনীয়। দুঃখই পারে মানুষের অন্তর্নিহিত মনুষ্যত্ব ও বিবেককে জাগ্রত করতে, মানুষকে খাঁটি মানুষে পরিণত করতে। দুঃখ মোকাবিলা করার শক্তি দিয়েই মানুষ আপন শক্তির পরিচয় দিতে পারে। পৃথিবীতে মহৎ কিছু অর্জন করতে হলে দুঃখ সইতে হয়। প্রবাদ আছে, কষ্ট ছাড়া কেষ্ট মেলে না। তাই পৃথিবীতে মহামনীষীরা দুঃখকে তুলনা করেছেন পরশপাথরের সাথে। পরশপাথরের ছোঁয়ায় লোহা যেমন স্বর্ণপিণ্ডে রূপান্তরিত হয়, দুঃখও তেমনি মানুষের জীবনকে নতুন রূপ দেয়, সকল ক্লেদ ও গ্লানি থেকে মুক্ত ও নির্মল করে। দুঃখ-কষ্ট ও ত্যাগ-তিতিক্ষা ছাড়া জীবনের স্বর্ণশিখরে আরোহণ

বাংলার বাঘঃ

তিনিই হলেন আবুল কাশেম ফজলুল হক। সংক্ষেপে এ.কে. ফজলুল হক, যাঁকে ’বাংলার বাঘ’ উপাধি দেওয়া হয়েছে। তিনি ১৮৭৩ সালের ২৬ শে অক্টোবর জন্মগ্রহণ করেন এবং ১৯৬২ সালের ২৭ শে এপ্রিল ইন্তিকাল করেন। অর্থাৎ তিনি এই পৃথীবিতে ৮৯ বছর বেঁচেছিলেন। তাঁর তিন বিষয়ে ডিগ্রী ছিল। উদাহরণসরূপ,  গণিত, পদার্থবিদ্যা একং রসায়ন, এবং তিনি ১৮৯৭ সালে গণিতে প্রথম শ্রেণীতে প্রথম স্থান অধিকার করেছিলেন। বাল্যকাল থেকেই ফজলুল হক সাহসী এবং মেধাবী ছিলেন। তিনি ছিলেন একজন মহান নেতা, বড় আইনবীদ এবং গরীবের মহান ও মহৎ বন্ধু।  তিনি একজন শিক্ষার পৃষ্ঠপোষক ছিলেন। ইনি সেই এ.কে. ফজলুল হক যিনি নিষ্ঠুর বৃটিশ ও হিন্দুদের বিরুদ্ধে সাহসিকতার সাথে সংগ্রাম করেছিলেন। তিনি এমন আইন প্রণয়ন করেছিলেন যা দরিদ্র (গরীব) মুসলিম কৃষকদের সুদখোরদের হাতের মুষ্টি হতে রক্ষা করেছিলেন। শিক্ষার আলো ছড়ানোর জন্য তিনি মুসলিম শিক্ষা তহবিল ও বৃত্তি চালু করেছিলেন এবং শিক্ষা প্রতিষ্ঠান স্থাপন করেছিলেন। শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো হল: কলকাতা ইসলামিয়া কলেজ, ইডেন কলেজ, ফজলুল হক হল, সেন্ট্রাল মহিলা কলেজ, বাংলা একাডেমী, তেজগাঁও কৃষি কলেজ ইত্যাদি ঢাকায় এবং বরিশালে চাখার কলেজ স্থাপন কর

The man, The Tiger of Bengal

It is Abul Kasem Fazlul Haque, in short, A.K. Fazlul Haque, who is giveb the title " The Tiger of Bengla." He was born on october 26, 1873 and died on April 27, 1962. That means, he lived 89 years in this mortal world. He had his Master Degree on 3 subjects, viz. Namely, Mathematics, Physics and Chemistry, and obtained the 1st class and secured 1st place in Maths in 1897. Fazlul Haque was brave and brilliant from his boy-hood. He was a great leader, great lawyer and great and noble friend of the poor. He was also a great patron of education. It is A.K. Fazlul Haque who bravely fought against the unkind Briticism and the Hindus and made the Muslims free from their torture and unkind rule. He made laws that saved the poor Muslim peasants from the grips of the usurers peasants. To spread the light  of education among the Muslims, he introduced Muslim Educational Fund, stipend and set up educational institution. The education institutions are: Islamia College in Kolkata, Eden C

বিশ্বায়নঃ

প্রশ্নঃ বিশ্বায়ন কি? উত্তরঃ বিশ্বে বর্তমানে সবচেয়ে আলোচিত ও ব্যবহৃত প্রত্যয় হলো বিশ্বায়ন। বর্তমান যুগের তথ্যপ্রযুক্তিগত উন্নত বিশ্ব সম্প্রদায়ের কাছে এনে দিয়েছে বিশ্বায়ন নামক প্রক্রিয়াটি। বিশ্বের প্রতিটি অংশের সাথে অন্যান্য অংশের অর্থনৈতিক, সামাজিক ও রাজনৈতিক পরষ্পর আন্তঃনির্ভরতা হচ্ছে বিশ্বায়নের মূলকথা। প্রামাণ্য সংজ্ঞাঃ অতীতে বিশ্বায়নকে যে অর্থে উপলব্ধি করা হতো বর্তমানে তা অন্য দৃষ্টিতে দেখা হচ্ছে। বিভিন্ন সমাজবিজ্ঞানী, তাত্ত্বিক, গবেষকগণ বিশ্বায়নকে যেভাবে দেখেছেন বা ব্যাখ্যা করেছেন তার কয়েকটি তুলে ধরা হলো: Oxford Dictionary of Business গ্রন্থে বলা হয়েছে, বিশ্বায়ন হলো বৃহদায়নতন প্রতিষ্ঠানসমূহের উৎপাদিত পণ্যদ্রব্য বা সেবাসমূহের আন্তর্জাতিকরণের একটি প্রক্রিয়া। বিশ্বায়নের প্রথম তাত্ত্বিক রোনাল্ড রবার্টসন এর মতে, বিশ্বায়ন বলতে বিশ্বের সংকোচন এবং পরষ্পর নির্ভরশীলতাকে বুঝায়। সমাজবিজ্ঞানী মার্টিন আল ব্রো এর মতে, বিশ্বায়ন হচ্ছে একটি সামগ্রিক সম্প্রদায়ের মধ্যে সমস্ত মানুষকে নিয়ে আসার প্রক্রিয়া। অনিতা রডিস এর মতে, অর্থনৈতিক উদারীকরণ যেমন, নিয়ন্ত্রণমুক্তকরণ, বেসরকারিকরণ এবং অধিকতর মুক্

অগাস্ট কোঁৎ এর পরিচয়

ভূমিকা: মানবসভ্যতার ক্রমবিকাশের বিভিন্ন পর্যায়ে পৃথিবীর বিভিন্ন অঞ্চলের দার্শনিক, চিন্তাবিদ মানুষের সমাজরেজীবন সম্পর্কে চিন্তাভাবনা করেছেন। একেকজন একেক দৃষ্টিতে সমাজ ও সমাজবদ্ধ মানুষের বিভিন্ন সমস্যা তথা জীবনযাপন পদ্ধতি আলোচনা করেছেন। এদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলেন সমাজবিজ্ঞানী অগাস্ট কোঁৎ।  অগাস্ট কোঁৎ এর পরিচয়: ফরাসি দার্শনিক, চিন্তাবিদ ও সমাজবিজ্ঞানী অগাস্ট কোঁৎ ১৭৯৮ সালে ফ্রান্সের মন্টপেলিয়ারে জন্মগ্রহণ করেন। তাঁর জীবন পরিধি বিস্তৃত না হলেও চিন্তাজগতে এ মনীষীর মৌলিক অবদান অনস্বীকার্য। অগাস্ট কোঁৎ ই সর্বপ্রথম সমাজবিজ্ঞান সম্পর্কীয় বিক্ষিপ্ত চিন্তা, দর্শন ও তত্ত্বসমূহ একটি বিশেষ বিজ্ঞানের অধীনে এনে সামাজিক বিজ্ঞানের ভিত্তি ও দৃষ্টিকোণ তৈরি করেছেন। সমাজবিজ্ঞানের ভূমিকা ও প্রয়োজনীয়তা উপলব্ধি করে তিনি বিজ্ঞানের একটি রূপরেখা তৈরির চেষ্টা করেছেন। তিনিই প্রথম দেখান যে, Associational facts বা সামাজিক প্রপঞ্চগুলো এমন একটি বিষয়বস্তু তৈরি করে, যা অন্যান্য বিজ্ঞানের প্রপঞ্চ থেকে আলাদা।  Ronald Fletcher এর মতে, It was August Comte who first achieved a systems which clearly and firmly laid t

অনার্স ১ম বর্ষের ফরম ফিলাপের নিয়ম

ছবি
প্রিয় শিক্ষার্থী বন্দুগণ সাধারণ একটি বিষয় নিয়ে আজ আমি টিউন করবো। আর তাহলো অনার্সের ফরম ফিলাপ কিভাবে করতে হয়। তাহলে চলুন দেখে নেয়। প্রখমে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়েবসাইটে ঢুকতে হবে। www.nubd.info/201 এই ঠিকানায়। তারপর নিচের ছবির মতো একটি প্যাজ আসবে  এর পর APPLY TO ONLINE FORM FILL UP (FOR STUDENTS) এই লেখাতে ক্লিক করতে হবে। ক্লিক করার পর আর একটি প্যাজ আসবে। Registration No বক্সে রেজিস্ট্রেশন নাম্বার দিলেই আপনার ফরম আসবে। মোবাইল নাম্বার ঘরে মোবাইল নাম্বার দিয়ে অপশনালই বিষয় সিলেক্ট করে Submit করতে হবে। এর পর প্রিন্ট করে নির্ধারিত কলেজে জমা দিতে হবে। 

অযুভঙ্গের কারণসমূহ

অযুভঙ্গের কারণ ছয়টি, যথা- ১। পেশাব-পায়খানার রাস্তা দিয়ে কোন কিছু বাহির হওয়া। ২। রক্ত, পূঁজ বের হয়ে স্থান হতে গড়িয়ে পড়া। ৩। মুখ ভরে বমি হওয়া। ( অল্প বমি অযুভঙ্গের কারণ নয়। আর বেশী অর্থ এই পরিমাণ যা মুখের ভিতর ধদরে রাখা সম্ভব নয়। ৪। পূর্ণ শিথিল শরীরে ঘুমিয়ে পড়া। যেমন চিত হয়ে, কাত হয়ে, এক নিতম্বের উপর বসে এবং কোন কিছুতে এমনভাবে হেলান দিয়ে ঘোমানো যে, তা সরালে পড়ে যাবে। ৫। বেহুঁশ হওয়া, পাগল হওয়া এবং মাতাল হওয়া। ৬। নামাজের ভিতর শব্দ করিয়া হাসা।

কোরবানীর জরুরী মাসআলা

কোরবানীর গুরুত্বপূর্ণ মাসআলা সমূহ: মিনহাজ উদ্দীন ১। নিত্য প্রয়োজনীয় আসবাবপত্র ব্যতীত ১০,১১ ও ১২ ই জিলহজ্জ এই তিন দিনের মধ্যে যাহার ঘরে সাড়ে ৭ তোলা সোনা, বা সাড়ে ৫২ তোলা রূপা অথবা উহার সমপরিমাণ মালামাল মওজুদ থাকে তবে তাহার উপর কোরনী করা ওয়াজিব। ২। ১০ ই জিলহজ্জ হইতে ১২ ই জিলহজ্জের সূযাস্ত পর্যন্ত কোরবানী করা দুরুস্ত আছে। তবে প্রথম দিন কোরবানী করাই উত্তম। রাতে কোরবানী করা মাকরুহ। ৩। কোরবানীর পশু নিজ হাতে জবাই করা উত্তম। বিসমিল্লাহি আল্লাহু আকবার বলিয়া জবাই করিতে হইবে, তবে দোয়া পড়া মুস্তাহাব। নাম বলা জরুরী নয়। ৪। উট, গরু, মহিষ, ছাগল, দুম্বা ও ভেড়া কোরবানী করা দুরুস্ত আছে। উটের বয়স ৫ বছর, গরু ও মহিষ ২ বছর এবং ছাগল, ভেড়া ও দুম্বা ১ বছর হইতে হইবে। দাঁতাল হওয়া শর্ত নয়। ৫। উট, গরু, মহিষ ৭ জন পর্যন্ত শরীক হইয়া কোরবানী করিতে পারিবেন। তবে প্রত্যেকেরেই নিয়ত কোরবানীর হইতে হইবে। ৭ জনে ১ জনও যদি গোস্ত খাওয়ার নিয়তে কোরবানী করেন তবে কাহারও  কোরবানী দোরস্ত হইবেনা।  শরীকানা কোরবানীর গোস্ত সমভাবে ওজন করিয়া বন্টন করিতে হইবে। কোরবানীর গোস্তের এক তৃতীয়াংশ গরীব-মিছকিনদের দেওয়া মুস্তাহাব। ৬। কোরবানীর পশ

হাজী শরীয়তুল্লার আন্দোলনঃ

হযরত শাহ আব্দুল আযীয রহ: এর ‘ দারুল হরব’ ঘোষণার দ্বারা প্রভাবিত হয়ে বাংলাদেশ অঞ্চলে যারা আন্দোলন মুখর হয়ে উঠেছিলেন , হাজী শরীয়তুল্লাহ রাহ : ছিলেন তাদের মধ্যে অন্যতম । নীলকর সাহেবদের দ্বারা নিগৃহীত ও নির্যাতিত দেশবাসীর কাছে তিনি ছিলেন মুক্তির স্বপ্নপুরুষ । হিন্দু জমিদারদের দ্বারা উৎপীড়িত মুসলমানদের কাছে তিনি ছিলেন ত্রানকর্তা স্বরুপ । ১৭৮১ খ্রীষ্টাব্দে বর্তমান শরীয়তপুর জিলার মাদারীপুরের অন্তর্গত শামাইল নামক গ্রামে তিনি জন্ম গ্রহণ করেন । আট বৎসর বয়সে পিতা আব্দুল জলীল তালুকদার মারা যান । চাচা আযীম উদ্দীনের তত্ত্ববধানে লালিত - পালিত হন । ১৮ বছর বয়সে হজ্জ করতে গিয়ে দীর্ঘ ২০ বছর কাল আরব জাহানে অবস্থান করত : শরীয়তের বিভিন্ত বিষয়ে তিনি গভীর জ্ঞান অর্জন করেন । অতপর : ১৮১৮ সালে দেশে ফিরে স্বদেশের মানুষের হিদায়াতের কাজে আত্মনিয়োগ করেন । মুসলমানদের দৈনন্দিন জীবনে পূর্ণ ইসলামী আদর্শের বাস্তবায়ন , নির্যাতিত মানুষের মাঝে রাজনৈতিক চেতনা জাগ্রতকরণ , পরাধীনতার অক্টোপাশ ছিন্ন করে স্বাধীনত

বাংলাদেশের সাধারণ পরিচিতি:

মোঃ মিনহাজ উদ্দীন: ভূমিকাঃ বাংলাদেশ ভূখন্ডের রয়েছে সুদীর্ঘকালের গৌরবময় ইতিহাস। প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের অপরূপ নীলাভূমি আমাদের এই বাংলাদেশ। বাংলাদেশের ইতিহাস এব গৌরবময় ইতিহাস। দীর্ঘ নয় মাস সশস্ত্র সংগ্রামের মাধ্যমে ১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বর পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীকে পরাজিত করে স্বাধীন সার্বভৌম বাংলাদেশ হিসেবে আত্মপ্রকাশ করে। বাংলাদেশের সংক্ষিপ্ত পরিচয়ঃ নিম্নে বাংলাদেশের সংক্ষিপ্ত পরিচয় তুলে ধরা হলো: ১। বাংলাদেশের সাংবিধানিক নাম: গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ (The people Republic of Bangladesh)। ২। বাংলাদেশের রাজধানীর নাম: বাংলাদেশের রাজধানীর নাম ঢাকা(Dhaka is the Capital of Bangladesh) ৩। বাংলাদেশের সরকার পদ্ধতি: বাংলাদেশের সরকার পদ্ধতি সংসদীয় পদ্ধতি সরকার। রাষ্ট্রপ্রধান রাষ্ট্রপতি এবং সরকার প্রধান প্রধানমন্ত্রী। বহুদলীয় গণতন্ত্র বিদ্যমান। ৪। বাংলাদেশের আয়তন: বাংলাদেশের আয়তন ১,৪৭,৫৭০ বর্গকিলোমিটার বা ৫৬, ৯৭৭ বর্গমাইল। আয়তনের দিক থেকে বাংলাদেশের অবস্থান ও বিশ্বে ৯৩ তম। ৫। বাংলাদেশের সীমানা ও অবস্থান: বাংলাদেশের উত্তরে ভারতের পশ্চিমবঙ্গ, আসাম, মেঘালয়, পশ্চিমে ভারতের পশ্চিমবঙ্গ এবং পূর্বে ভ

ঈদের বাজারে চাঁদাবাজি

সারা দেশে ঈদের বাজার জমে উঠেছে। শেষ মুহূর্তের কেনাকাটায় ব্যস্ত হয়ে উঠেছে মানুষ। মার্কেটগুলোতে উপচেপড়া ভিড়। ঈদকে সামনে রেখে জমে উঠেছে চাঁদাবাজিও। চাঁদাবাজরা হানা দিচ্চে বিভিন্ন শিল্প-কারখানা, ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে এমনকি বাড়িতেও। চাঁদাবাজদের ভয়ে ব্যবসায়ীদের অনেকেই ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে আসা বন্ধ করে দিয়েছে। অনেকেই মোবাইল বন্ধ করে রাখেন। নানা অজুহাতে দাবি করা হচ্ছে চাঁদা। পুলিশের বিরুদ্ধে উঠেছে চাঁদাবাজির অভিযোগ। টেলিফোন ও বিদ্যুতের মতো সেবা প্রতিষ্ঠানের কর্মচারীরাও চাঁদাবাজিতে নেমেছে বলে অনেক অভিযোগ রয়েছে। শহরের মার্কেটগুলোতে সকাল থেকে গভীর রাত পর্যন্ত ভিড় লেগেে আছে ক্রেতাদের। ক্রেতাদের আকৃষ্টি করতে মার্কেটগুলোকে আলোকসজ্জায় সজ্জিত করা হয়েছে। অনেক দোকান বিভিন্ন হারে মূলহ্রাসের ঘোষণা দিয়ে বাজার জমানোর চেষ্টা করছে। ফুটপাতেও অস্থায়ী দোকান তৈরি করা হয়েছে ঈদ উপলক্ষে। শহরের প্রধান বিপণি বিতানে মার্কেটে ক্রেতাদের প্রচণ্ড ভিড়। স্বল্প আয়ের মানুষ ভিড় জমাচ্ছে ফুটপাতে। ফুটপাতের দোকানগুলোতে সবরকমের পণ্যই পাওয়া যাচ্ছে অপেক্ষাকৃত কম দামে। ঈদকে উপলক্ষ করে নেমে পড়েছে সন্ত্রাসী চাঁদাবাজরাও। নানা অজুহাতে দাবি কর

ঈদুল আযহার সুন্নত

ঈদুল আযহার সুন্নতসমূহ ১। খুব সকালে ঘুম থেকে উঠা ২। ফজরের নামায মহল্লার মসজিদের পড়া। ৩। মেছওয়াক করা। ৪। গোসল করা। ৫।  আতর ব্যবহার করা। ৬। সামর্থ অনুযায়ী উত্তম ও পরিচ্ছন্ন পোশাক পরিধান করা। ৭। কোন কিছু না খেয়ে ঈদগাহে যাওয়া। ৮। ওযর না থাকলে ঈদগাহে পায়ে হেঁটে যাওয়া। ৯। উচ্চস্বরে তাকবীর পড়তে পড়তে ঈদগাহে যাওয়া। ১০। শরিয়ত অনুমোদিত পন্থায় থেকে সাধ্যানুযায়ী সুসজ্জিত হওয়া। ১১। সকাল সকাল ঈদগাহে যাওয়া। ১২। ঈদুল আযহার নামায যথা সম্ভব সকাল সকাল আদায় করা। ১৩। এক রাস্তায় ঈদগাহ মাঠে যেয়ে অন্য রাস্তায় প্রত্যাবর্তন করা। ১৪। ঈদের দিন সর্ব প্রথম কোরবানীর গোশ্ত খাওয়া। ১৫। প্রফুল্লতা ও আনন্দ প্রকাশ করা। ১৬। ঈদের নামায ঈদগাহের মাঠে পড়া।

ঈদের জামাত না পেলে করণীয়

 হাফেজ মিনহাজ উদ্দীন: ঈদের জামাত ছুটে গেলে অন্য কোনো স্থানে যাওয়া যদি সম্ভব হয়, তাহলে সেখানে গিয়েই ঈদের জামাতে শরীক হবে। আর যদি কোনো ওজরের কারণে অন্য জামাতে শরীক হতে না পারে, তাহলে চার রাকাত চাশতের নামাজ আদায় করে নিবে। তবে তা ঈদের নামায বলে বিবেচিত হবে না। হবে চাশতের নামাযই। ( দুররে মুখতার: 1/795) মাসআলাঃ আহনাফের মতে জুমআর নামাযের মতো ঈদের নামায সহীহ হওয়ার জন্য জামা’আত শর্ত। যদি ইমাম সাহেবের পিছনে ঈদের নামায পড়া সম্ভব না হয়, তাহলে ওয়াক্তের ভিতর বা বাইরে কোনো সময়ই তার কাযা আদায় করা কাম্য নয়। যদি কেউ একাকী এর কাযা আদায় করতে চায়, তাহলে অতিরিক্ত তাকবীর ছাড়া চার রাকাত পড়ে নিবে। প্রথম রাকাতে সূরা আ’লা, দ্বিতীয় রাকাতে সূরা দুহা, তৃতীয় রাকাতে সূরা আলাম নাশরাহ এবং চতুর্থ রাকাতে সূরা তীন পড়বে। প্রশ্নঃ ঈদুল ফিতরের দ্বিতীয় রাকাতে ইমাম সাহেব অতিরিক্ত তাকবীর ভুলে গিয়ে রুকুতে চলে গেলেন। এ দিকে মুক্তাদীরা দাঁড়িয়ে রইল। রুকুর পর ইমার সাহেব সেজদায় চলে গেলেন কথন মুক্তাদীরাও সেজাদয় চলে গেলেন। এভাবে অধিকাংশ মুক্তাদীরই রুকু হল না। এরপর ইমাম সাহেব সেজাদয় সাহু করলেন। এমতাবস্থায় মুক্তাদীদের নামায হবে কি না?

যে সকল শিশুরা দুগ্ধপোষ্য অবস্থায় কথা বলেছে।

চারজন শিশু দুগ্ধ পোষ্য অবস্থায় কথা বলেছে তাদের সংখ্যা চারজন। (১) যে বাচ্চাটি জুরায়েজের সতীত্বের পক্ষে স্বাক্ষ দিয়েছে। ঘটনা এইযে, জনৈক মহিলার গর্ভ থেকে জারজ সন্তান জন্ম নিলে সে মহিলাটি জুরায়েজের দিকে ইঙ্গিত করে। তখন বাচ্চাটি বলে উঠল-আমার পিতা অমুক রাখাল। (২) যে বাচ্চা হযরত ইউসুফ (আঃ ) এর পক্ষে সততার স্বাক্ষ দিয়ে তাঁকে জুলাইখার অপবাদ থেকে নিষ্কৃতি দেয়। (৩) ফেরাউনের মেয়ের চাকরানীর ছেলে, যে, ফেরাউনের মেয়েকে কুফরী থেকে ভয় দেখায়। (৪) হযরত ঈসা (আঃ)।                              ( হায়াতুল হায়ওয়ান ) 

এক শিকারী বুজুর্গের ঘটনা

হযরত ইবরাহীম ইবনে শাবীব (রহঃ) বলেন, প্রতি শুক্রবার জুমুআর নামাজের পর আমরা তালিমের হালকার আয়োজন করিতাম। একবার এক অপরিচিত ব্যক্তি আমাদের মজলিসে আসিয়া শরীক হইল। তাহার গায়ে শুধূ একটি কাপড় জড়ানো ছিল। সে উপস্থিত আলেমগনকে লক্ষ করিয়া একটি প্রশ্ন করিল। মজলিস শেষ হওয়া পর্যন্ত আমরা তাহার প্রশ্নটি লইয়া আলোচনা করিলাম, কিন্তু তবুও উহার কোন সমাধান হইল না। লোকটি পরবর্তী সপ্তাহে আবার তালিমের হালকায় শরীক হইলে আমরা তাহার প্রশ্নের জবাব দিলাম। খোঁজ লইয়া জানা গেল, লোকটি বসরার অদূরে এক গ্রামের অধিবাসী এবং তাহার নাম আবু আব্দুল্লাহ পরে দীর্ঘদিন যাবৎ সে আমাদের এখানে যাতায়ত করিল এবং আমরা তাহার সঙ্গ লাভ করিয়া প্রীত হইলাম। কিন্তু হঠাৎ কি কারণে তাহার আগমন বন্ধ হইয়া গেল এবং আমরা তাহার অভাব অনুভব করিতে লাগিলাম। কিছুদিন পর আমরা কয়েকজন তাহাকে সন্ধান করিতে তাহার গ্রামের উদ্দেশ্যে রওয়ানা হলাম। দীর্ঘ পথ অতিক্রমের পর সেই গ্রামে গিয়া তাহার এক প্রতিবেশীর নিকট জিজ্ঞাসা করিয়া জানা গেল, আবু আব্দুল্লাহ পেশায় একজন শিকারী। বর্তমানে সে শিকার করিতে গিয়াছে এবং কিছুক্ষণের মধ্যেই সে ফিরিয়া আসিবে। আমরা তাহার জন্য অপেক্ষা করিতে লাগিলাম।

কবিতাঃ সবি তোমার দান

ছবি
মিনহাজ উদ্দীন সবি তোমার দান কার হুকুমে সৃষ্টি সবি তামাম মাখলুকাত, রাতের চাদর উন্মুক্ত করে হই আবার প্রভাত। কার হুকুমে পাখপাখালি গেয়ে বেড়ায় গান, সুনতে লাগে কত মধুর সুধাঅফুরান। কার হুকুমে সূর্য উঠে কার হুকুমে ডুবে, কার হুকুমে ঝড় বৃষ্টি বিজলি চমক মারে। কার হুকুমে নদ নদীতে কল কল তান, কার হুকুমে গাছের ডালে পাখপাখালির গান। কার হুকুমে নদীর বুকে নৌকা চলে ভেসে, মাঝি মাল্লা মিলে মিসে মাছ ধরে হেসে। কার হুকুমে সাগর বুকে ঢেউয়ের হুলি খেলা, কার হুকুমে নদীর বুকে ডিঙ্গি নায়ের চলি । কার হুকুমে রাতের আধার এতো কেন কাল, ঝিঝির পোকার গুণগুণ শব্দ সুনতে লাগে ভাল। কার হুকুমে সূর্যের আলো এমন দৃপ্তিময়, প্রভু তোমার নিয়ামতে শির নত হয়। কার হুকুমে আকাশে মিটি মিটি তারার খেলা, পাখিরা সব আহার নিয়ে ফিরে সন্ধা বেলা। কার হুকুমে ধরাধামে চলছে অবিরাম, এ সব প্রভু আর কার নই সবি তোমার দান।

হযরত ইবরাহীম বিন আদহামের সন্ধানে

প্রক্ষ্যাত বুজুর্গ হযরত ইবরাহীম বিন আদহাম (রহঃ) বলেন, একবার আমি এক শহরে গিয়া এক মসহিদে উঠিলাম। মনে মনে ভাবিলাম, রাতটা এখানেই কাটাইব। এশার নামাজের পর মুসল্লীগন একে একে সকলে বাহির হইয়া গেলে ইমাম সাহেব আসিয়া আমাকে বলিলেন, তুমি বাহিরে যাও। আমি মসজিদের দরজা বন্ধ করিব। আমি বলিলাম, আমি মুসাফির , রাতে এখানেই থাকিব। কিন্তু ইমাম সাহেব র্বিক্ত হইয়া বলিলেন, মুসাফিরগণ মসজিদের বাতি ও চাটাই চুরি করে। সুতরাং আমি কাহাকেও মসজিদে থাকিতে দিব না। এমনকি ইবরাহীম বিন আদহাম আসিলেও না। আমি বলিলাম, আমিই আবরাহীম বিন আদহাম। আমার কথা শুনিয়া ইমাম সাহেব অবিশ্বাসের ভঙ্গিতে ব্যঙ্গ করিয়া বলিলেন, তোমার চেহারা দেখিয়াই তাহাই মনে হইতেছে বটে। অনর্থক বক্ বক্ করিয়া মিথ্যা বলিয়না। এই কথা বলিয়াই তিনি আমার দুই পা ধরিয়া হেঁচড়াইয়া মসজিদ হইতে বাহির করিয়া দরজা বন্ধ করিয়া দিলেন। কন্কনে  শীতের রাত। বাহিরে তখন বেশ হিম পড়িয়াছে। আমি দাড়াইয়া দেখিলাম, মসজিদের অদুরে এক ব্যক্তি তন্দুরে আগুন দিতেছে। আমি মনে মনে ভাবিলাম, রাতটা তাহার নিকট কাটাইলে মন্দ হয় না। অতঃপর আমি নিকটে গিয়া তাহাকে সালাম করিলামৃ। কিন্তু সে আমার সালামের জবাব না দিয়া হাতের ইশ

রোজ নামচা, পাথেয়

মিনহাজ উদ্দীন দৃপ্তিময় সূর্যের আভা পৃথিবীর চারিদিকে এখনো আলো ছড়াচ্ছে। রক্তিম সূর্যের আভা আজ যেন সুন্দর একটি রূপ ধারণ করছে। শুক্রবার হয়াই অন্যদিনের তুলনায় ব্যস্ততম শহর যেন ব্যস্ততা কমিয়ে রেখেছে। বৃহস্পতিবার অনেক ছাত্র মাদরাসা ত্যাগ করে যার যার বাড়িতে চলে গেছে।  দাড়িয়ে ছিলাম মাদরাসার ছাদের এক পার্শ্বে একটু পর পর মৃদু হাওয়া এসে  শরীর শিতল করে দিয়ে যাচ্ছে। এ যেন মহান বিধাতার অপার দান। শারি শারি নারিকেল গাছ আর সুপারির গাছ দাড়িয়ে আছে আপন মনে। মনে হচ্ছে কাউকে যেন অভ্যার্থনা জানানো তাদের এই দন্ডায়মান। মাদরাসার পাশে কয়েকটি আম গাছ মৃদু হাওয়ায় পাতা গুলো এদিক সেদিক দুল খাচ্ছে। পার্শ্বে বাগান থেকে ফুলের সুভাসে স্নিগ্ধতা হাওয়ার সৌরভে মনকে মুখরিত করেছে। খুটি বিহীন আকাশ চাদুবার মত আমাদেরকে বেষ্টনি দিয়ে রেখেছেন। আকাশের রঙ অন্য দিনের তুলনায় ভিন্ন রকম লাগছে। রঙ ধনুর সাত রং যেন আজ সারা পৃথিবী রাঙ্গিয়ে তুলছে। মাথার উপর দিয়ে নাম না জানা পাখির ঝাক উড়ে গেল দেখতে দেখতে কোথায় যেন অদৃশ্য হয়ে গেল, একফালি মেঘ একদিক থেকে অন্য দিকে চলে যাচ্ছে। মনে হচ্ছে কে যেন আপন হাতে তাদেরকে পরিচালনা করছে। মনটা হঠাৎ বেদনায় বিধূর

ছড়াঃ হচ্ছেটা কি?

মিনহাজ উদ্দীন হচ্ছেটা কি হচ্ছেটা কি আমার দেশে ভেবে দেখ ভাই, চারদিকে সুনা যাচ্ছে শুধু হায় হায়। হচ্ছেটা কি রাজনীতিতে শুধুই মারা মারি, মিটিং মিছিলের টাকা নিয়ে হচ্ছে কাড়া কাড়ি। হচ্ছেটা কি বাংলাদেশে চিন্তা করো ভাই, চারদিকে হা হা কার শান্তি কোথাও নাই। হচ্ছেটা কি আদালতে একটু ভাবো ভাই, আসামিরা নিদোর্ষ হয়েও জেল হয় তাদের ঠায়। ৯০% মুসলিম হলো আমার বাংলাদেশে , নাস্তিকদের তৎপরতা সেখানে নেই শেষ। একের পর এক অপমান সইছে মুসলমান, সইসইতে মুসলমানরা হারাচ্ছে ঈমাণ। হচ্ছেটাকি প্রশাসনে শুনার বাংলাদেশে, নিরঅপরাধ আলেম উলামা জেলে জাচ্ছে শেষে। ইসলাম নিয়ে কথা বল্যে হইবো মৌলবাদ, ধরে নিয়ে সরকার দিবে জংগীল অপবাদ শত শত আওলিয়ারা শুয়ে আছে দেশে, বিশ্ব নবীকে ব্যংগকরে নাস্তিক ঘুরছে হেসে। জার অসিলায় সৃষ্টি সবি জার অসিলাই ভূবণ, সেই নবিকে অপমাণ করে নাস্তিক করছে সৃজন আমার ব্লগে যুক্ত হতে,  এখানে ক্লিক করুন

জমিয়া সিদ্দীকিয়া শেরপুর এর পরিচিতি:

জমিয়ার পরিচিতি: শেরপুর জামিয়া সিদ্দীকিয়া ( মাদ্রাসা) দারুল উলুম দেওবন্দের অনুসারী একটি দ্বীনি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান । দারুল উলুম দেওবন্দের মত , পথ ও আদর্শ এবং কার্যক্রম গ্রহণ করত আল্লাহর রহমতে উক্ত জামিয়াটি দৃঢ় পদক্ষেপে সম্মুখে অগ্রসর হচ্ছে । ১৯৭৮ সালে জামিয়ার সুযোগ্য মোহতামিম আলহাজ্ব হযরত মাওলানা নূরূল ইসলাম ও স্থানীয় কতিপয় দ্বীনি ভাইয়ের সহযোগীতায় এই জামিয়ার ভিত্তি প্রস্তর স্থাপন করেন । এলাকাবাসীর ঐকান্তিক আন্তরিকতা ও সাহনুভূতি জামিয়ার পরিচালনায় যথেষ্ঠ অবদান রয়েছে । অত্যন্ত অল্প সময়ের মধ্যে এ প্রতিষ্ঠানটি ইসলামী শিক্ষানুরাগী তথা গোটা দেশবাসীর দৃষ্টি আকর্ষণ করতে সক্ষম হয়েছে । এবং ইতিমধ্যেই দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চল হতে ইসলামী জ্ঞানপিপাসুরা দলে দলে ভিড় করছে । জামিয়ার ইতিহাস: বাংলাদেশের উত্তর সিমান্তে অরণ্য রাজবেষ্টিত গাড়ো পাহাড়ের পাদদেশে ঐতিহ্যবাহী ব্রক্ষ্রপুত্র আর পাহাড়ী নদীর ভোগায় , চেল্লাখালি , মালশ্যমৃগি , সমস্যরি বিধাইতো সমৃদ্ধ জনপদ , শেরপুর জেলার প্রাচীন ইতিহাস । গাজী বঙংশের শেষ জমিদার ছিলেন শেরআলী গাজী ,   শের আলী গাজীর নামানূসারে এই জেলার নাম করণ করা হয় শেরপুর