ঈদের জামাত না পেলে করণীয়

 হাফেজ মিনহাজ উদ্দীন:
ঈদের জামাত ছুটে গেলে অন্য কোনো স্থানে যাওয়া যদি সম্ভব হয়, তাহলে সেখানে গিয়েই ঈদের জামাতে শরীক হবে। আর যদি কোনো ওজরের কারণে অন্য জামাতে শরীক হতে না পারে, তাহলে চার রাকাত চাশতের নামাজ আদায় করে নিবে। তবে তা ঈদের নামায বলে বিবেচিত হবে না। হবে চাশতের নামাযই। ( দুররে মুখতার: 1/795)
মাসআলাঃ আহনাফের মতে জুমআর নামাযের মতো ঈদের নামায সহীহ হওয়ার জন্য জামা’আত শর্ত। যদি ইমাম সাহেবের পিছনে ঈদের নামায পড়া সম্ভব না হয়, তাহলে ওয়াক্তের ভিতর বা বাইরে কোনো সময়ই তার কাযা আদায় করা কাম্য নয়। যদি কেউ একাকী এর কাযা আদায় করতে চায়, তাহলে অতিরিক্ত তাকবীর ছাড়া চার রাকাত পড়ে নিবে। প্রথম রাকাতে সূরা আ’লা, দ্বিতীয় রাকাতে সূরা দুহা, তৃতীয় রাকাতে সূরা আলাম নাশরাহ এবং চতুর্থ রাকাতে সূরা তীন পড়বে।
প্রশ্নঃ ঈদুল ফিতরের দ্বিতীয় রাকাতে ইমাম সাহেব অতিরিক্ত তাকবীর ভুলে গিয়ে রুকুতে চলে গেলেন। এ দিকে মুক্তাদীরা দাঁড়িয়ে রইল। রুকুর পর ইমার সাহেব সেজদায় চলে গেলেন কথন মুক্তাদীরাও সেজাদয় চলে গেলেন। এভাবে অধিকাংশ মুক্তাদীরই রুকু হল না। এরপর ইমাম সাহেব সেজাদয় সাহু করলেন। এমতাবস্থায় মুক্তাদীদের নামায হবে কি না?
পড়াশেষ আমার ব্লগ থেকে একটু ঘুরে আসুন- এখানে ক্লিক করুন

মন্তব্যসমূহ

এই ব্লগটি থেকে জনপ্রিয় পোস্টগুলি

কোরবানীর আভিধানিক ও পারিভাষিক সংজ্ঞা, কোরবানীর সূচনা।

মাইক্রোসফট ওয়ার্ড শিখুন।

হযরত মুয়ায ইবনে জাবাল রাঃ এর জীবনী