কম্পিউটার শিক্ষা



 Microsoft Word
Microsoft Word (মাইক্রোসফট ওয়ার্ড) হচ্ছে মাইক্রোসফট অফিস এর একটি ওয়ার্ড প্রসেসিং সফটওয়ার এর সাহায্যে যে কোন ধরনের ডকুমেন্ট, প্রশ্ন, চিঠিপত্র টাইপ করা ছাড়াও প্রিন্ট দেওয়া, ছোটখাট ডিজাইন বই তৈরি করাসহ বিভিন্ন কাজ করা হয়
মাইক্রোসফট ওয়ার্ডের সাহায্যে নিম্নোক্ত কাজ করা যেতে পারে :
. ডকুমেন্ট, প্রশ্ন, চিঠিপত্র টাইপ করা
. ছোট-খাট ডিজাইন করা।
. টেবিল অথবা ডায়াগ্রাম তৈরি করা এবং
. ব্যক্তিগত নোট তৈরি করা ইত্যাদি
মাইক্রোসফট ওয়ার্ড সম্পর্কে প্রাথমিক ধারণাঃ
Start> All Programs> Microsoft Office> Microsoft Office Word 2003/2007/2010- প্রবেশ করলে ডিফল্টভাবে একটি সাদা Page আমাদের সামনে ওপেন হবে। যাতে একটি কার্সর মাউস পয়েন্টার প্রদর্শিত হবে
একটু খেয়াল করলে দেখা যাবে আমাদের খোলা সাদা পেইজে একটি দাগ উঠা-নামা করছে, এই দাগ কে কার্সর বলে। এই কার্সর যেখানে থাকবে Keyboard দিয়ে কোন অক্ষর চাপ দিলে লেখাটা সেখান থেকে শুরু হবে।
তাছাড়া উক্ত পেইজে আরো যা যা প্রদর্শিত হবে তার সংক্ষিপ্ত পরিচয় নিম্নে সচিত্র তুলে ধরা হলোঃ
নিচের লাইনে যাওয়াঃ
 একলাইন লেখা শেষ হলে কার্সর স্বয়ংক্রিয়ভাবে নিচের লাইনে চলে যাবে। কিন্তু আপনি যদি এক লাইনের অংশবিশেষ কিংবা কয়েকটি শব্দ লিখেই নিচের লাইনে লেখা শুরু করতে চান তাহলে Keyboard থেকে এন্টার (Enter)-কী চাপ দিয়ে প্রয়োজন মত নীচে পুনরায় লেখা শুরু করতে পারবেন।
জ্ঞাতব্য, লেখার ফাঁকে অন্য কোন কাজ করতে চাইলে আপনি Microsoft Word Screen এর ডানদিকের কন্ট্রোল বার থেকে বিয়োগ চিহ্নে মাউস দিয়ে ক্লিক করলে ডকুমেন্টটি সংকোচিত হয়ে স্ট্রারট বাটন এর ডান দিকে ডাব্লিউ আইকনে সীমাবদ্ধ হয়ে যাবে (কম্পিউটারের নিচে লক্ষ করুন)। পুনরায় কাজ করতে চাইলে উক্ত ডাব্লিউ আইকনে ক্লিক করলে আগের অবস্থায় ফিরে আসবে
কার্সর মাউস পয়েন্টারঃ 
 মাউস নাড়ালে যে তীর কিংবা আই-য়ের ন্যায় চিহ্নিত আইকনটি নাড়াচাড়া করে তাকে মাউস পয়েন্টার বলে। আর মাউস পয়েন্টার দিয়ে ডকুমেন্ট ক্লিক করলে যে একটি দাগ জ্বলে এবং নিভে তাকে কার্সর ( আলোক রেখা) বলে কার্সর ডকুমেন্ট এর যেখানে থাকবে সেখান থেকে লেখা টাইপ হবে
লেখার মাঝখানে ফাঁকা রাখাঃ
  দুইটি শব্দের মাঝে ফাঁকা রাখার জন্য কী-বোর্ডে স্পেসবার চাপতে হয়। স্পেসবার সাধারণত একবার চাপ দিতে হয় আর অধিক ফাঁকা রাখার জন্য প্রয়োজনমতো স্পেসবার চাপ দিয়ে ফাঁকা রাখা যায়
মাইক্রোসফট ওয়ার্ড ডকুমেন্টএর লেখা মোছার নিয়ম:
ডকুমেন্ট কোন লেখা ভূল হলে তা মোছার জন্য তিনটি পদ্ধতি রয়েছেঃ
1. Backspace Key: সাধারণত একটি বর্ণ মুছার জন্য কী-বোর্ড থেকে Backspace Key চাপলে কার্সরের বামদিকে থেকে একটি বর্ণ মুছে যাবে
2. Delete Key: কী-বোর্ড থেকে Delete Key চাপলে কার্সরের ডানদিক থেকে অক্ষর মুছে যাবে
3. তাছাড়া যে কোন লেখাকে সিলেক্ট করে Backspace Key কিংবা Delete Key চাপলে সিলেক্ট বা নির্বাচন করা অংশটুকু মুছে যাবে
মাইক্রোসফট ওয়ার্ড ডকুমেন্টএর মোছা লেখা ফেরৎ আনার পদ্ধতিঃ
আমরা অনেক সময় ভুলবশতঃ প্রয়োজনীয় লেখা কেটে ফেলি বা কেটে যায়, কেটে ফেলা লেখা ফেরত আনতে হলে Keybord থেকে Ctrl+Z বা Edit মেনু থেকে Undo -কমান্ড ক্লিক করতে হবে। উল্লেখ্য, কোন লেখা মুছে ফেলার পর ফাইল ক্লোজ বা বন্ধ করার পর পুনরায় ফাইলটি ওপেন করলে কোন লেখাই ফেরৎ আনা সম্ভব নয়
লেখা সিলেক্ট/নির্বাচন করাঃ
 MS WORD (মাইক্রোসফট ওয়ার্ড) কোন লেখার মাঝে যে কোন পরিবর্তন আনতে হলে প্রথমে লেখা সিলেক্ট করে নিতে হবে। লেখাকে ব্লক বা সিলেক্ট করলে তা কালো কিংবা হালকা ধুসর অংশে ঢেকে যায়। ইচ্ছা করলে মাউস এবং কিবোর্ড দিয়ে সিলেক্ট করা যায়। কিবোর্ড দিয়ে SHIFT কী চেপে ধরে অ্যারো কি চাপ দিতে থাকলেও তা সিলেক্ট হতে থাকবে। ডকেমেন্ট এর পুরো লেখা একসাথে সিলেক্ট করতে হলে Ctrl+A চাপতে হবে, নিচে দেখুন লেখা আংশিক সিলেক্ট করা হয়েছে
লেখা সিলেক্ট করা বাতিল করতে হলে মাউস দিয়ে ডকুমেন্টের যে কোন জায়গায় ক্লিক করলে অথবা Keyboard থেকে অ্যারো কি চাপ দিলে সিলেকশান বাতিল হয়ে যায়। লক্ষ্যণীয় যে, একটি শব্দ সিলেক্ট করার জন্য শব্দটির উপর মাউস নিয়ে পরপর দুইবার ক্লিক করতে হয় আর একটি প্যারাগ্রাফ সম্পূর্ণ সিলেক্ট করার জন্য প্যারাগ্রাফের যে কোন স্থানে মাউস দিয়ে পরপর তিনবার ক্লিক করতে হয়
MS WORD – টুলবারের কাজঃ 
 টুলবার হল সংক্ষেপে বা দ্রুত কাজ করার একটি পদ্ধতি। এতে কোন কমান্ড প্রয়োগ করতে হলে তার একটি আইকনের/সেম্বলের উপর ক্লিক করতে হয়। এতে কোন মেন্যুতে যাওয়ার প্রয়োজন হয় না বলে কাজটি খুব দ্রুত সম্পাদন করা যায়। মাইক্রোসফট ওয়ার্ডে বিভিন্ন টুল বার আছে। যার অধিকাংশই মাইক্রোসফট ওয়ার্ড 2010 প্রদর্শিত হয় বলে কাজ করা অত্যন্ত সহজ। আপনি কোন আইকনের/টুলের উপর মাউস পয়েন্টার নিলে আইকন/টুলের নাম শর্টকাট কীসহ প্রদর্শিত হবে
MS WORD –এর মেনুবারঃ 
 মাইক্রোসফট ওয়ার্ড- সাধারনত মোট মেনু নয়টি হলেও টেবিল তৈরি করার সময় পাশে একাধিক সহযোগী মেনু যোগ হয়। যাতে করে টেবিলকে সহজে মডিফাই করা যায়। প্রথমে আমরা যে মেনু নিয়ে আলোচনা করতে চাই তা হচেছ File মেনু
ফাইল মেন্যু (File Menu)
মাইক্রোসফট ওয়ার্ডের প্রথম মেনু হচ্ছে ফাইল (File) মেনু। এই মেনুর সাহায্যে ডকুমেন্ট এর লেখা সংরক্ষণ (সেভ) করা, সাম্প্রতিক তৈরি করা ফাইল দেখা, ক্লোজ করা, প্রিন্ট প্রিভিউ দেখা, নতুন ফাইল তৈরি করা, পূর্বের সেভ করা ফাইল ওপেন করা, ডকুমেন্টের পেজের সাইজ, মার্জিন নির্ধারণ করা, প্রিন্ট করা ইত্যাদি কাজ করা হয়ে থাকে। আমরা ধারাবাহিক ভাবে ফাইল মেন্যুর সাব মেন্যুগুলোর কাজ সম্পর্কে জানবো।
1. Save (কী বোর্ড শর্ট কাট কী: Ctrl+S): কাজ করার পর প্রয়োজনীয় যে কোন ডকুমেন্ট কম্পিউটারে সংরক্ষণ করতে হয়। কোন ডকুমেন্ট/ফাইলকে সেভ করার জন্য File Menu-এর এই সাবমেন্যুটি ব্যবহার করতে হয়। কোন ডকুমেন্ট সংরক্ষণ করতে হলে File ক্লিক করতে হবে তারপর Save ক্লিক করতে হবে অথবা কী বোর্ড থেকে শর্ট কাট কী Ctrl চেপে রেখে S চাপতে হবে

তাহলে একটি ডায়ালগ বক্স আসবে। যা নিম্নরূপঃ

উক্ত ডায়লগ বক্সের File name-Box- ফাইলটি কোথায় সেভ হবে তা দেখিয়ে দিতে হবে।এই দেখিয়ে দেয়াকে ফাইল লোকেশান বলে। নতুনদের উদ্দেশ্যে পরামর্শ হচ্ছে ভুল করেও প্রয়োজনীয় ফাইল My Documents সেভ করবেন না। কেননা, কোন কারনে আপনার কম্পিউটার ফরমেট দেয়ার প্রয়োজন হলে আপনার ফাইলটিকে উদ্ধার করতে পারবেন না। যা লোকাল ডিস্ক সি ড্রাইভ/My Documents এর পরিবর্তে অ্ন্য যে কোন ড্রাইভে রাখলে শতবার ফরমেট দেয়ার পরও ফাইল/ডকুমেন্টটি উদ্ধার করা সম্ভব হবে (যদি আপনার Hard Disk সম্পূর্ণ নষ্ট না হয়ে যায়) উল্লেখ্য, যে কোন ডকুমেন্ট/ফাইলের নাম দেয়ার সময় কাজের সাথে মিল রেখে নাম দিলে পরবর্তীতে তা উদ্ধার করা সহজ হবে। যেমন- আপনি একটি প্রয়োজনীয় দরখাস্ত লিখে নাম দিলেন abc যা আপনি পরবর্তীতে ভুলে যেতেই পারেন; তার পরিবর্তে আপনি যদি ফাইলের নাম Application দিয়ে সেভ করেন তাহলে পরবর্তীতে সহজেই তা খুজে বের করতে পারবেন।
আপনার জ্ঞাতার্থে জানাচ্ছি যে, আপনার কম্পিউটারে যে কয়টি ড্রাইভ আছে [C:, D:, E:] তার প্রত্যেকটিতে আপনি আপনার নামে Folder খুলতে পারবেন। আর Folder খোলা তেমন কঠিন কিছুই নয়। আপনি আপনার ডেস্কটপ কিংবা ল্যাপটপ স্কীনের Computer আইকন থেকে থাকলে Computer আইকনে আর যদি My Computer আইকন থাকে তাতে ডাবল ক্লিক করুন। নিম্নরূপ আসবেঃ
এখান থেকে D:, E: অথবা F: ক্লিক করলে নিম্নরূপ কিছু Folder দেখা যাবে (থেকে থাকলে):
উপরোক্ত বক্সের ডান কিংবা নীচের খালি অংশে মাউসের ডান বাটনে ক্লিক করলে নিম্নের চিত্রের ন্যায় একটি ঝুলন্ত মেনু দেখা যাবেঃ
উক্ত মেনুর New- Option ক্লিক করলে আরেকটি সাব মেনু আসবে। যাতে Folder নামে একটি অপশন থাকবে। তাতে ক্লিক করলে New Folder নামে একটি বক্স আসবে। যা নিম্নরূপঃ
লক্ষ্য করুন, New folder লেখাটি অটোমেটিক সিলেক্ট হয়ে আছে যার পরিবর্তে আপনি আপনার নাম লিখতে পারবেন। অর্থাৎ এভাবে আপনি যে কোন ড্রাইভে নিজ নামে ফোল্ডার তৈরি করে নিতে পারবেন। এরপর আপনি যদি মাইক্রোসফট ওয়ার্ডের কোন ফাইল সেভ করতে চান তাহলে File name box- লিখুন F:\Shafayet\Application (F:\আপনার নাম\ফাইলের নাম) তারপর Save বাটনে ক্লিক করুন
2. Save As (কী-বোর্ড শর্ট কাট কী F12): উপরোক্ত নিয়মে সেভ করা ফাইলটি অন্য আরেকটি নামে সেভ করার জন্য Save As সাবমেন্যু ব্যবহার হয় এই পক্রিয়াটি সেভ করার মতই। Save As অপশনে ক্লিক করলেও ফাইলটি আগে থেকে সেভ করা না থাকলে প্রথমে সেভ হবে আর যদি আগে থেকে সেভ করা থেকে থাকে তাহলে ফাইলটির নতুন একটি কপি তৈরি হবে। উল্লেখ্য, একই ফোল্ডারে একই নামে একাধিক ফাইল সেভ হবে না বরং নাম পরিবর্তন করে দিতে হবে
3. Open (কী-বোর্ড শর্ট কাট কী Ctrl+O):
 আগের Save করা কোন ফাইলকে ডেস্কটপ/ল্যাপটপ স্ক্রীনে আনতে এই সাবমেন্যুটি ব্যবহার হয়। এক্ষেত্রে প্রথমে File থেকে Open ক্লিক করলে একটি ডায়ালগবক্স আসবে। এখান থেকে আমাদের Save করা ফাইল সিলেক্ট করে কিংবা ফাইল লোকেশন লিখে (F:\Shafayet\Application) Open কমান্ড বাটনে ক্লিক করতে হবে। তাহলে Save করা ফাইল Scrin বা পর্দায় প্রদর্শিত হবে
4. Close (কী-বোর্ড শর্ট কাট কী Ctrl+W):
 কাজ করার সময় যদি স্ক্রীনে সচল করা ফাইলটি বন্ধ করার প্রয়োজন হয় তাহলে এই সাবমেন্যুর সাহায্যে তা করা হয়। এক্ষেত্রে File ক্লিক করে Close ক্লিক করতে হবে কিংবা উপরে উল্লেখিত কী ব্যবহার করতে হবে। ডকুমেন্টটি সেভ না থাকলে সেভ করতে চান কিনা তার জন্য একটি চেক বক্স আসবে। এখানে সেভ করতে চাইলে Yes সেভ না করতে চাইলে No তে ক্লিক করুন
5. Info: উক্ত অপশনের সাহায্যে মাইক্রোসফট ওয়ার্ড টিউটরিয়াল সম্পর্কে বিভিন্ন তথ্য জানতে পারবে।
6. Recent: উক্ত অপশনের মাধ্যমে সম্প্রতি কাজ করা ফাইলগুলোর লিষ্ট দেখা যাবে এবং প্রয়োজনীয় ফাইল এই লিষ্টে ক্লিক করে ওপেন বা খোলা যাবে। মাইক্রোসফট ওয়ার্ড (Microsoft Word)
7. New (কী-বোর্ড শর্ট কাট কী Ctrl+N):

উক্ত সাবমেন্যুর সাহায্যে নতুন ডকুমেন্ট তৈরি করা হয়। একটি ফাইলের কাজ করা শেষ হওয়ার পর নতুন ফাইলের দরকার হলে ফাইল মেন্যুতে ক্লিক করে New ক্লিক করলে একটা Task Pane বক্স আসবে- Task Pane বক্স থেকে Create ক্লিক করলে একটি নতুন পেইজ ওপেন হবে। মাইক্রোসফট ওয়ার্ড (Microsoft Word)
Bangla Computer School IT-Vander
8. Print (কী-বোর্ড শর্ট কাট কী Ctrl+P):
  কাজ শেষে প্রয়োজনীয় ডকুমেন্টের লেখা প্রিন্ট করতে হলে এই সাব মেন্যুর ব্যবহার হয়। তবে খেয়াল রাখতে হবে প্রিন্ট দিতে হলে কম্পিউটারে অবশ্যই প্রিন্টার সফটওয়্যার ইনস্টল থাকতে হবে এবং কম্পিউটারের সাথে ডাটা কেবল দিয়ে প্রিন্টারটি সংযুক্ত থাকতে হবে, এরপর প্রিন্টারটি অন করুন। File থেকে Print ক্লিক করুন। একটি ডায়ালগ বক্স আসবে। এখান থেকে উপরে Printer Name বক্স থেকে যে প্রিন্টারে প্রিন্ট করবেন তা সিলেক্ট করতে হবে। তারপর Page Range থেকে All নির্বাচন করুন যদি ডকুমেন্টের সব পেজ প্রিন্ট করতে চান, অথবা Current Page নির্বাচন করুন যদি যে পেজে কার্সর আসে সে পেজ প্রিন্ট করতে চান, অথবা Pages পৃষ্ঠা নম্বর দিন যেগুলো প্রিন্ট করতে চান। এখানে যদি আমি 1-5 এই রকম দেই তাহলে থেকে নং পৃষ্ঠা পর্যন্ত প্রিন্ট হবে, এরপর Copies বক্স থেকে আপনি কত কপি প্রিন্ট চান তা টাইপ করে দিন। তারপর সবশেষে OK তে ক্লিক করলে প্রিন্ট শুরু হবে। মাইক্রোসফট ওয়ার্ড (Microsoft Word)
9. Save & Send: ইন্টারনেট সংযোগ থাকা অবস্থায় এই সাব মেন্যুর সাহায্যে ডকুমেন্টের যাবতীয় তথ্য সেভ করে রাখারা পাশাপাশি -মেইল করা যাবে
10. Help: এই সাব মেনুর সাহায্যে মাইক্রোসফট ওয়ার্ড বিষয়ে আপনার কোন কিছু সাহায্যের প্রয়োজন হলে অপশনটি ব্যবহার করে অনায়াসে সমস্যার সমাধান করতে পারবেন। মাইক্রোসফট ওয়ার্ড (Microsoft Word)
Bangla Computer School IT-Vander
11. Options: এই সাব মেনুটি অত্যন্ত প্রয়োজনীয়। কেননা আপনি ডকুমেন্টের প্রয়োজনীয় সেটিং এখান থেকে ঠিক করতে পারবেন। উদাহরণস্বরূপ বলা যায়- ডকুমেন্টে টেক্সট বাউন্ডারী থাকবে কি থাকবে না, স্ক্রীনে স্কেল শো করবে কি করবে না, টুলবারের ধরন কি হবে ইত্যাদি উক্ত সাব মেনু থেকে নিয়ন্ত্রণ করা যায়
12. Exit (শর্ট কাট কী Alt+F4): মাইক্রোসফট ওয়ার্ড থেকে বের হয়ে যেতে হলে এই সাবমেন্যুটি ব্যবহার হয়। কিছু লেখার পর (সকল লেখা মুছে ফেলা হলেও) ডকুমেন্ট/ফাইলটি বন্ধ করতে চাইলে File মেনুর Exit সাব মেনুতে ক্লিক করুন। ডকুমেন্ট টি সবশেষে সেভ না থাকলে একটি উইন্ডো আসবে। আপনি যদি সব শেষ অবস্থা সেভ করতে চান তাহলে Yes এবং সেভ না করতে চাইলে No বাটন- ক্লিক করুন
MS WORD –এর মেনুবারের Home মেনু সম্পর্কে ধারনাঃ
মাইক্রোসফট ওয়ার্ড ডকুমেন্ট শুরু করার সময় স্বাভাবিকভাবেই Home Menu সিলেক্ট করা থাকে। যার উপরে সেভ, আন ডু রেডু টুল ছাড়াও নীচে পেষ্ট, কাট, কপি, বোল্ড, ইটালিক, আন্ডারলাইন, ফন্ট, ফন্ট সাইজ, কালার, এ্যালাইনমেন্ট, প্যারাগ্রাফ, সেম্বল, এ্যাসেনডিং ইত্যাদি টুল থাকে। যার ফলে পূর্বের যে কোন ভার্সন থেকে অতি দ্রুত নির্ভূল কাজ করা সম্ভব হয়। নিম্নে সংক্ষেপে টুল নিয়ে আলোচনা করা হলোঃ
* Undo (কী বোর্ড শর্ট কাট কী Ctrl+Z):
মাইক্রোসফট ওয়ার্ড ডকুমেন্ট ইচ্ছাকৃত কিংবা ভুলবশত কোন কাজ হয়ে গেলে পূর্বের অবস্থায় ফেরৎ যাওয়ার জন্য এই সাব মেন্যুটি ব্যবহার হয়। এজন্য টুল বার থেকে Undo টুল- ক্লিক করলে হবে অথবা কিবোর্ডে Ctrl+Z কী চাপতে হবে।
মাইক্রোসফট ওয়ার্ড (Microsoft Word)
* Redo (কী বোর্ড শর্ট কাট কী Ctrl+Y):
মাইক্রোসফট ওয়ার্ড ডকুমেন্ট ইচ্ছাকৃত অথবা ভুলবশত প্রয়োজনাতিরিক্ত আনডু হয়ে গেলে রেডু টুলের সাহায্যে কিংবা Keyboard Ctrl+Y চেপে পুনরায় পূর্বের অবস্থায় ফিরে যাওয়া যায়।
Bangla Computer School IT-Vander
* Cut (কী বোর্ড শর্ট কাট কী Ctrl+X):
মাইক্রোসফট ওয়ার্ড ডকুমেন্টএর প্রয়োজনীয় কিংবা অপ্রয়োজনীয় কোন লেখাকে মুছে ফেলার জন্য কিংবা স্থানান্তর করার জন্য কাট টুলটি ব্যবহার করা যায়। তা করার জন্য প্রথমে লেখা কিংবা ছবি (যতটুকু প্রয়োজন) সিলেক্ট করতে হবে। তারপর টুল বারের সিজার/কাঁচি চিহ্নিত টুলটিতে ক্লিক করতে হবে কিংবা কী বোর্ড থেকে Ctrl+X চাপতে হবে।
মাইক্রোসফট ওয়ার্ড (Microsoft Word)
* Copy (কী বোর্ড শর্ট কাট কী Ctrl+C):
মাইক্রোসফট ওয়ার্ড ডকুমেন্টএর একই লেখা বা ছবি বারংবার লেখার/স্থাপনের প্রয়োজন হলে Copy Tool টি ব্যবহার করা যায়। তা করার জন্য প্রথমে প্রয়োজনীয় লেখা/ছবি সিলেক্ট/ব্লক করে নিতে হবে। তারপর টুল বারের Copy টুলটিতে ক্লিক করতে হবে কিংবা কী বোর্ড থেকে Ctrl+C চাপতে হবে।উল্লেখ্য, লেখা বা ছবিতে যে কোন পরিবর্তন আনার জন্য অবশ্যই সিলেক্ট করে নিতে হবে
* Paste (কী বোর্ড শর্ট কাট কী Ctrl+V):
মাইক্রোসফট ওয়ার্ড ডকুমেন্টএর Cut or Copy করা লেখা/ছবি যেখানে স্থাপন করতে ইচ্ছুক সেখানে কার্সর রেখে (মাউস দিয়ে ক্লিক করে স্থান নির্বাচন করে) এই Paste Tool ক্লিক করতে হয় কিংবা Keyboard থেকে Ctrl+V চাপতে হয়
* Font (কী বোর্ড শর্ট কাট কী Ctrl+Shift+F):
মাইক্রোসফট ওয়ার্ড ডকুমেন্ট বাংলা ইংরেজীতে লেখার অনেকগুলো আকৃতি আছে। এই আকৃতিগুলোকে Font বলা হয়। ডিফল্ট ভাবে/সাধারণত একটি ডকুমেন্ট খোলা হলে দেখা যাবে ফন্ট বক্সে Times New Roman দেখা যাবে। ইংরেজী লিখার ক্ষেত্রে তা পরিবর্তন না করে লেখা যাবে। কিন্তু বাংলায় কিছু লিখতে হলে অবশ্যই ফন্ট পরিবর্তন করেই লিখতে হবে। আবার যদি ইংরেজী লেখার ক্ষেত্রে লেখার ধরনটি আপনার পছন্দ না হয় তাহলে আপনার লেখা সিলেক্ট করে ফন্ট বক্সের ত্রিভূজাকৃতি স্থানে ক্লিক করে কিংবা Keyboard থেকে Ctrl+Shift+F চেপে ফন্ট বক্সের তালিকা থেকে আপনার পছন্দের ফন্ট নির্বাচন করুন।
* Font Size (কী বোর্ড শর্ট কাট কী Ctrl+Shift+P):
মাইক্রোসফট ওয়ার্ড ডকুমেন্টএর Font Size সাধারণত 12 থাকে। আপনি যদি লেখার সাইজ বড় করতে চান তাহলে লেখা সিলেক্ট করে ফন্ট সাইজ বক্সের ত্রিভূজে ক্লিক করুন কিংবা Keyboard থেকে Ctrl+Shift+P চাপুন।
মাইক্রোসফট ওয়ার্ড (Microsoft Word)
* Bold (কী বোর্ড শর্ট কাট কী Ctrl+B):
মাইক্রোসফট ওয়ার্ড ডকুমেন্টএর কোন লেখাকে Bold বা মোটা করার প্রয়োজন হলে লেখা সিলেক্ট করে টুল বারের B-তে ক্লিক করতে হয় কিংবা Keyboard থেকে Ctrl+B চাপতে হয়
* Italic (কী বোর্ড শর্ট কাট কী Ctrl+I):
মাইক্রোসফট ওয়ার্ড ডকুমেন্টএর কোন লেখাকে সুন্দর দেখার জন্য কিছুটা বাঁকা বা Italic করার প্রয়োজন হলে লেখা সিলেক্ট করে টুল বারের I-তে ক্লিক করতে হয় কিংবা Keyboard থেকে Ctrl+I চাপতে হয়।
* Underline (কী বোর্ড শর্ট কাট কী Ctrl+U):
মাইক্রোসফট ওয়ার্ড ডকুমেন্টএর কোন লেখার নিচে Underline করার প্রয়োজন হলে লেখা সিলেক্ট করে টুল বারের U-তে ক্লিক করতে হয় কিংবা Keyboard থেকে Ctrl+U চাপতে হয়
* Font Color:
মাইক্রোসফট ওয়ার্ড ডকুমেন্টএর কোন লেখার রং পরিবর্তন করার জন্য (লেখার রং সাধারনত কালো থাকে) Font কে প্রথমে সিলেক্ট করতে হয়, তারপর ফন্ট কালার টুলের ত্রিভূজে ক্লিক করে প্রদর্শিত কালার দেয়া যায় কিংবা মোর কালার অপশনে ক্লিক করে অন্য কালার পছন্দ করা যায়
* Alignment:
মাইক্রোসফট ওয়ার্ড ডকুমেন্ট কয়েকটি লাইন লেখা হলে সাধারণতঃ বাম দিকে সারিবদ্ধ হয়ে থাকে কিন্তু ডানদিকেও সারিবদ্ধ না থাকার কারনে কিছুটা অসুন্দর দেখা যায়। আর সে জন্যই ডানে বামে সারিবদ্ধ ভাবে দেখানোর জন্য টুলবারের একটি টুল Justify নামে আছে। Justify করার জন্য লেখা সিলেক্ট করে টুল বারের উক্ত টুলে ক্লিক করতে হয় কিংবা কী-বোর্ডে Ctrl+J চাপতে হয়। মাইক্রোসফট ওয়ার্ড (Microsoft Word)
বন্ধুগণ, Home Menu-এর টুল বক্সের গুরুত্বপূর্ণ টুল সম্পর্কে উপরে আমি প্রাথমিক ধারণা দিলাম। অবশিষ্ট টুলগুলোর ব্যবহার আপনি দক্ষ হলে পরবর্তীতে নিজে নিজেই বের করতে পারবেন ইনশাআল্লাহ। মাইক্রোসফট এক্সেল বিষয়ে পরবর্তী অধ্যায়ে আলোচনা করা হবে ইনশাআল্লাহ

মন্তব্যসমূহ

এই ব্লগটি থেকে জনপ্রিয় পোস্টগুলি

কোরবানীর আভিধানিক ও পারিভাষিক সংজ্ঞা, কোরবানীর সূচনা।

হযরত মুয়ায ইবনে জাবাল রাঃ এর জীবনী

মাইক্রোসফট ওয়ার্ড শিখুন।