হজ্ব কখন ফরয হয়েছেঃ



উপনস্থাপনাঃ মুসলিম উম্মাহার মাঝে ঐক্যের সেতুবন্ধন রচনায় হজ্ব একটি তাৎপর্যপূর্ণ ইবাদত। হজ্ব ইসলামের পঞ্চবেনার অন্যতম একটি। এটি একটি আর্থিক ও শারীরিক ইবাদত। সামর্থবান প্রত্যেক মুসলমানের জন্য জীবনে একবার হজ্জ করা ফরয। হজ্ব আরবী শব্দ।
আভিধানিক অর্থ-
         1.  القصد
         2. الارادة
         3. সংকল্প করা।
পারিভাষিক অর্থঃ 1. উমদাতুল কারী প্রণেতার মতে,
নির্দিষ্ট সময়ে নির্দিষ্ট কার্যাবলির দ্বারা সম্মানের সাথে বায়তুল্লাহ যেয়ারতের ইচ্ছা করাকেই হজ্জ বলে।
2. এহইয়াউল উলুম গ্রণ্গার বলেন, আল্লাহর নৈকট্যলাভের উদ্দেশ্যে নির্দিষ্ট সময়ে নির্দিষ্ট কার্যাবলির মাধ্যমে সম্মানিত বায়তুল্লাহ যেয়ারতের সংকল্প করার নামই হজ্জ।
হজ্জ ফযর হওয়ার সময়কালঃ হজ্জ ফরয হওয়ার সময়কালের ব্যাপারে ওলামায়ে কেরামের মাঝে মতভেদ রয়েছে। যেমন-
1.  ইমামুল হারামাইন, ইবনুল জুযী ও জমহুর ওলামার মতে, হজ্জ নবম হিজরীতে ফরয করা হয়েছে। যেমন মহান আল্লাহর বাণী-
ولله علي ا لناس حج ا لبيت من ا ستطا ع ا ليه سبيلا
অত্র আয়াত দ্বারা হজ্জ ফরয ঘোষণা দেয়া হয়। আর আয়াতটি নবম হিজরীতে নাযিল হয়।
2. আল্লামা রাফেয়ী ও ইবনে রাফায়ার মতে, হজ্জ ষষ্ঠ হিজরীতে ফরয হয়।
3. আল্লামা ওয়াকেদী বলেন, হজ্জ পঞ্চম হিজরীতে ফরয হয়েছে। কেননা হযরত দিমান ইবনে সালাবা পঞ্চম হিজরীতে মদিনায়া এসে হজ্জের কথা বলেন।
সিদ্ধান্তঃ নবম হিজরীর শেষদিকে হজ্জ ফরয হয়। কেননা পবিত্র কুরআনের আয়াত- ولله علي ا لناس حج ا لبيت من ا ستطا ع ا ليه سبيلا  অবতীর্ণ হয় নবম হিজরীর শেষের দিকে। সে বছর রাসূল স: হযরত আবু বকর রাঃ কে আমীরুল হজ্জ মনোনীত করে হজ্জব্রত পালনের জন্য পাঠান এবং পরবর্তী বছর তথা দশম হিজরীতে তিনি হজ্জ আদায় করেন।

মন্তব্যসমূহ

এই ব্লগটি থেকে জনপ্রিয় পোস্টগুলি

কোরবানীর আভিধানিক ও পারিভাষিক সংজ্ঞা, কোরবানীর সূচনা।

মাইক্রোসফট ওয়ার্ড শিখুন।

হযরত মুয়ায ইবনে জাবাল রাঃ এর জীবনী