আহলুস সুন্নাত কারা? তাদের আকিদাসমূহ
অবতারনিকাঃ মহানবী সা: এর ইন্তিকালের পর ইসলামের ওপর অন্ধকারের ঘনঘটা নেমে এসেছিল। ঠিক এমনি মুহূর্তে উদ্ভব ঘটে ভ্রান্ত মতবাদ খারেজী, শিয়া, ও মুতাযিলা সম্প্রদায়ের। বিরাজমান এ পরিস্থিতিতে হিজরী তৃতীয় শতাব্দীতে আব্বাসীয় খলিফা মুতাওয়াক্কিলের আমলে ইমাম আবুল হাসান আল আশয়ারীর ধর্ম দর্শনের ওপর ভিত্তি করে আহলুস সুন্নাত ওয়াল জামাত প্রতিষ্ঠা লাভ করে। আহলুস সুন্নাত ওয়াল জামাত আল্লাহপ্রদত্ত ও রাসূল সাঃ প্রদর্শিত আদর্শের ওপর প্রতিষ্ঠিত। নিচে বিস্তারিত আলোকপার করা হলো।
আহলুস সুন্নাত এর আভিধানিক অর্থঃ
اهل শব্দটি একবচন, বহুবচনে اهلون ; এর আভিধানিক অর্থ হলো-
১। الاقارب
২। العشيرة
৩। তথা সাথী। ৪। অধিবাসী। ৫। অধিকারী। ৬। সদস্য।
ا لسنة এর আভিধানিক অর্থঃ
১। الطللريق
২। আদর্শ।
৩। নীতিমালা ৪। পদ্ধতি। । ৫। সম্প্রদায়। ৬। একত্রিত অর্থ হলো- সুন্নত অনুসারী দল।
পারিভাষিক অর্থঃ
১। আহলুস সুন্নাত ওয়াল জামাত এমন একটি দল, যারা নবী করীম সাঃ ও তাঁর সাহাবীগণের নির্ধারিত পথের ওপর প্রতিষ্ঠিত।
২। চার মাযহাব ও তাদের পূর্ববর্তী এবং পরবর্তীগণ আহলুস সুন্নাত ওয়াল জামায়াতের অন্তর্ভুক্ত।
৩। আহলুস সুন্নাত ওয়াল জামাত এমন একটি সত্যপন্থি দল, যারা জীবনে প্রত্যেক ক্ষেত্রে পবিত্র কুরআন, হাদীস ও সুপথপ্রাপ্ত সাহাবীগণের রীতিনীতি অনুসরণ করেন।
আহলুস সুন্নাত ওয়াল জামাতের উৎপত্তিঃ
উমাইয়া শাসনামলে খারেজী ও শিয়া সম্প্রদায়ের এবং আব্বাসীয় শাসনামলে মুতাযিলা সম্প্রদায়ের উদ্ভব হয়। এসব দল মুসলমানদের কাছে ইসলামের সঠিক রূপরেখা পেশ করতে চরমভাবে ব্যর্থ হয়েছে। যার কারণে আব্বাসীয় খলিফা মুতাওয়াক্কিলের আমলে ইমাম আবুল হাসান আল আশয়ারী মুতাযিলা দল ত্যাগ করে বসরার এক মসজিদে নিজস্ব চিন্তাচেতনায় ভিত্তিতে এক মাযহাবের সূচনা করেন। উক্ত মাযহাবের অনুসারীরাই আহলুস সুন্নাত ওয়াল জামাত নামে পরিচিতি। ইতিহাসে পর্যালোচনা করলে জানা যায়, আহলুস সুন্নত ওয়াল জামায়াত রাসূল সা: এর হাদীস দ্বারা স্বীকৃত।
যেমন- রাসূলের হাদিস। অর্থঃ
“হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে ওমর রা: হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সা: বলেন, বনি ইসরাঈল সম্প্রদায় ৭২ দলে বিভক্ত হয়েছে। আর অচিরেই আমার উম্মত ৭৩ দলে বিভক্ত হবে, একটি দল ছাড়া সবাই জাহান্নামে যাবে। সাহাবায়ে কেরাম জিজ্ঞেস করলেন, হে আল্লাহর রাসূল! ঐ দল কোনটি? জবাবে তিনি বললেন, যে পথে আমি ও আমার সাহাবীগণ রয়েছেন। ”
অতএব এ হাদীস দ্বারা প্রমাণিত হলো, আহলুস সুন্নাত ওয়াল জামাত রাসূল সা: এর হাদিস দ্বারা স্বীকৃত।
অপর বর্ণনায় আহলুস সুন্নাত ওয়াল জামাত কুরআন দ্বারা স্বীকৃত।
আহলুস সুন্নাত ওয়াল জামাতের আকিদাসমূহঃ
১। মুহাম্মদ সাঃ শেষ নবী, তাঁর পরে আর কোনো নবী আসবেন না।
২। কোনো অন্যায়ের কারণে ইমামকে বরখাস্ত করা যাবে না; বরং তাকে সংশোধন হওয়ার সুযোগ দিতে হবে। সংশোধন না হলে তবে বরখাস্ত করা যাবে।
৩। যোগ্যতাসম্পন্ন যে কেউ খলিফা হতে পারেন। খেলাফতে নবী পরিবারের কোনো বিশেষত্ব নেই।
৪। হযরত মাহদী কেয়ামতের পূর্বে আগমন করবেন। তিনি ফাতেমা ও আলী রা: এর বংশধর হবেন বলে হাদিসে ইঙ্গিত রয়েছে।
৫। আনসার মুহাজির সকল সাহাবীই ন্যায়পরায়ণ।
৬। চার খলিফাই ন্যায়সঙ্গত খলিফা।
৭। সহাবীগণ সকল সমালোচনার উর্ধে্ব।
৮। নবী রাসূল গণ মাছুম। তাঁরা সগীরা বা কবীরা কোনো গুনাহে কলুষিত নন, তবে তাঁদের থেকে উত্তমতার খেলাফ কিছু প্রকাশ পেতে পারে।
৯। কবীরা গুনাহের কারণে কোনো মুসলমানকে ফাসেক বলা যাবে; কিন্তু কাফের বলা যাবে না।
১০। রাসূল সা: সশরীরে মিরাজে গমন করেছেন।
১১। আল্লাহ কারো ওপর সামর্থে্যর বাইরে কোনো কাজ চাপান না।
১২। কবীরা গুনাহকারী মুমিন তওবা ব্যতীত মারা গেলেও চিরকাল দোযখে থাকবে না।
১৩। মুজতাহিদ তাঁর ইজতেহাদে ভুল শুদ্ধ উভয় প্রকার সিদ্ধান্তেই উপনীত হতে পারে।
১৪। আল্রাহ ও রাসূল সা: এর প্রতি যে বিশ্বাস করে, সে আস্তিক।
১৫। মৃতব্যক্তির শান্তির জন্য দোয়া করা শরীয়তসম্মত।
আরো অনেক আকিদা উল্লেখ আছে।
অন্য এক সময় উপস্থাপন করবো।
আহলুস সুন্নাত এর আভিধানিক অর্থঃ
اهل শব্দটি একবচন, বহুবচনে اهلون ; এর আভিধানিক অর্থ হলো-
১। الاقارب
২। العشيرة
৩। তথা সাথী। ৪। অধিবাসী। ৫। অধিকারী। ৬। সদস্য।
ا لسنة এর আভিধানিক অর্থঃ
১। الطللريق
২। আদর্শ।
৩। নীতিমালা ৪। পদ্ধতি। । ৫। সম্প্রদায়। ৬। একত্রিত অর্থ হলো- সুন্নত অনুসারী দল।
পারিভাষিক অর্থঃ
১। আহলুস সুন্নাত ওয়াল জামাত এমন একটি দল, যারা নবী করীম সাঃ ও তাঁর সাহাবীগণের নির্ধারিত পথের ওপর প্রতিষ্ঠিত।
২। চার মাযহাব ও তাদের পূর্ববর্তী এবং পরবর্তীগণ আহলুস সুন্নাত ওয়াল জামায়াতের অন্তর্ভুক্ত।
৩। আহলুস সুন্নাত ওয়াল জামাত এমন একটি সত্যপন্থি দল, যারা জীবনে প্রত্যেক ক্ষেত্রে পবিত্র কুরআন, হাদীস ও সুপথপ্রাপ্ত সাহাবীগণের রীতিনীতি অনুসরণ করেন।
আহলুস সুন্নাত ওয়াল জামাতের উৎপত্তিঃ
উমাইয়া শাসনামলে খারেজী ও শিয়া সম্প্রদায়ের এবং আব্বাসীয় শাসনামলে মুতাযিলা সম্প্রদায়ের উদ্ভব হয়। এসব দল মুসলমানদের কাছে ইসলামের সঠিক রূপরেখা পেশ করতে চরমভাবে ব্যর্থ হয়েছে। যার কারণে আব্বাসীয় খলিফা মুতাওয়াক্কিলের আমলে ইমাম আবুল হাসান আল আশয়ারী মুতাযিলা দল ত্যাগ করে বসরার এক মসজিদে নিজস্ব চিন্তাচেতনায় ভিত্তিতে এক মাযহাবের সূচনা করেন। উক্ত মাযহাবের অনুসারীরাই আহলুস সুন্নাত ওয়াল জামাত নামে পরিচিতি। ইতিহাসে পর্যালোচনা করলে জানা যায়, আহলুস সুন্নত ওয়াল জামায়াত রাসূল সা: এর হাদীস দ্বারা স্বীকৃত।
যেমন- রাসূলের হাদিস। অর্থঃ
“হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে ওমর রা: হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সা: বলেন, বনি ইসরাঈল সম্প্রদায় ৭২ দলে বিভক্ত হয়েছে। আর অচিরেই আমার উম্মত ৭৩ দলে বিভক্ত হবে, একটি দল ছাড়া সবাই জাহান্নামে যাবে। সাহাবায়ে কেরাম জিজ্ঞেস করলেন, হে আল্লাহর রাসূল! ঐ দল কোনটি? জবাবে তিনি বললেন, যে পথে আমি ও আমার সাহাবীগণ রয়েছেন। ”
অতএব এ হাদীস দ্বারা প্রমাণিত হলো, আহলুস সুন্নাত ওয়াল জামাত রাসূল সা: এর হাদিস দ্বারা স্বীকৃত।
অপর বর্ণনায় আহলুস সুন্নাত ওয়াল জামাত কুরআন দ্বারা স্বীকৃত।
আহলুস সুন্নাত ওয়াল জামাতের আকিদাসমূহঃ
১। মুহাম্মদ সাঃ শেষ নবী, তাঁর পরে আর কোনো নবী আসবেন না।
২। কোনো অন্যায়ের কারণে ইমামকে বরখাস্ত করা যাবে না; বরং তাকে সংশোধন হওয়ার সুযোগ দিতে হবে। সংশোধন না হলে তবে বরখাস্ত করা যাবে।
৩। যোগ্যতাসম্পন্ন যে কেউ খলিফা হতে পারেন। খেলাফতে নবী পরিবারের কোনো বিশেষত্ব নেই।
৪। হযরত মাহদী কেয়ামতের পূর্বে আগমন করবেন। তিনি ফাতেমা ও আলী রা: এর বংশধর হবেন বলে হাদিসে ইঙ্গিত রয়েছে।
৫। আনসার মুহাজির সকল সাহাবীই ন্যায়পরায়ণ।
৬। চার খলিফাই ন্যায়সঙ্গত খলিফা।
৭। সহাবীগণ সকল সমালোচনার উর্ধে্ব।
৮। নবী রাসূল গণ মাছুম। তাঁরা সগীরা বা কবীরা কোনো গুনাহে কলুষিত নন, তবে তাঁদের থেকে উত্তমতার খেলাফ কিছু প্রকাশ পেতে পারে।
৯। কবীরা গুনাহের কারণে কোনো মুসলমানকে ফাসেক বলা যাবে; কিন্তু কাফের বলা যাবে না।
১০। রাসূল সা: সশরীরে মিরাজে গমন করেছেন।
১১। আল্লাহ কারো ওপর সামর্থে্যর বাইরে কোনো কাজ চাপান না।
১২। কবীরা গুনাহকারী মুমিন তওবা ব্যতীত মারা গেলেও চিরকাল দোযখে থাকবে না।
১৩। মুজতাহিদ তাঁর ইজতেহাদে ভুল শুদ্ধ উভয় প্রকার সিদ্ধান্তেই উপনীত হতে পারে।
১৪। আল্রাহ ও রাসূল সা: এর প্রতি যে বিশ্বাস করে, সে আস্তিক।
১৫। মৃতব্যক্তির শান্তির জন্য দোয়া করা শরীয়তসম্মত।
আরো অনেক আকিদা উল্লেখ আছে।
অন্য এক সময় উপস্থাপন করবো।
মন্তব্যসমূহ
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন