কুরবানি


আল্লাহকে খুশী করা এবং তাঁর নির্দেশ পালন করার উদ্দেশ্যে তাঁরই নামে নির্দিষ্ট তারিখে নির্দিষ্ট পদ্ধতিতে নির্দিষ্ট পশু যবেহ করাকে উযহীয়্যাহ বা কুরবানি বলে।
কুরবানির ইতিবৃত্ত:
 আল্লাহ পাক বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন আম্বিয়ায়ে কেরাম গনকে বিভিন্নভাবে পরীক্ষা করেছেন, তাঁদের মধ্যে হযরত ইবরাহীম আ: এর পরীক্ষা উল্লেখযোগ্য ও চিরস্মরণীয়। তাঁর পরীক্ষাসমূহের মধ্যে স্বীয় পুত্র হযরত ইসমাইল আ: কে আল্লাহর উদ্দেশ্যে কুরবানীর নির্দেশ দেয়াই ছিল সবচেয়ে কঠিন পরীক্ষা। সে পরীক্ষায় হযরত ইবরাহীম আ: , ইসমাইল আ: এবং হাজেরা আ: অর্থাৎ গোটা পরিবারটিই আল্লাহর নির্দেশকে যথাযথভাবে পালন করেছেন। আল্লাহর নির্দেশ পালনে তাঁদের জীবনের মায়া-মমতা আদৌ স্থান পায়নি। তাঁরা আল্লাহর অসাধারণ প্রেম-প্রীতি, ভালোবাসা ও আনুগত্যের এক উজ্জল দৃষ্টান্ত রাখতে সক্ষম হয়েছেন। এর মাধ্যমে তিনি এ কথা যথাযথভাবে প্রমাণ করেছেন, ‘নিশ্চয়ই আমার নামায, আমার কুরবানি, আমার জীবন ও মরণ বিশ্বপালকের জন্যই। ’ (আনআম-162)
তাই আল্লাহ তায়ালা তাঁ অন্তরের কুরবানি কবুল করে পুত্র ইসমাইল আ: এর জীবন উপহার দিয়ে পশু কুরবানির মাধ্যমে কিয়ামত পর্যন্ত এ সুন্নত জারি করে দিয়েছেন।
হযরত ইবরাহিম আ: হতে কিয়ামত পর্যন্ত এটা সুন্নাতে ইবরাহীম হিসেবে চালু থাকবে। হাদীস শরীফে ইরশাদ হয়েছে-
হযরত যায়েদ ইবনে আরকাম রা: হতে বর্ণিত আছে, তিনি বলেছেন, একবার রাসূল সাঃ এর সাহাবীগণ আরয করলেন, হে আল্লাহর রাসূল ! এ কুরবানি কি জিনিষ? উত্তরে তিনি বললেন, এটা তোমার পিতা হযরত ইবরাহীম আ: এর সুন্নত (ইবনে মাজাহ ও আহমাদ)
বিস্তারিত জানতে ভিজিট করুন

মন্তব্যসমূহ

এই ব্লগটি থেকে জনপ্রিয় পোস্টগুলি

কোরবানীর আভিধানিক ও পারিভাষিক সংজ্ঞা, কোরবানীর সূচনা।

হযরত মুয়ায ইবনে জাবাল রাঃ এর জীবনী

মাইক্রোসফট ওয়ার্ড শিখুন।