কোরবানী এবং সদকার মধ্যে পার্থক্য
হযরত ইবরাহীম আ: এর ঘটনা থেকে প্রতিয়মান হয় যে, এখানে মূল উদ্দেশ্য জানের নজরানা পেশ করা। এ দ্বারা মানুষের মধ্যে প্রাণ উৎসর্গের উদ্দম সৃষ্টি হয়। আর এটিই এ আমলের মূল লক্ষ ও উদ্দেশ্য। সদকার মাধ্যমে তা অর্জন করা আদৌ কি সম্ভব? নিশ্চয় না। কারণ, কোরবানী হয় প্রাণের বিনিময়ে আর সদকা হয় মালের বিনিময়ে। কোরবানীর জন্য নির্দিষ্ট দিন রয়েছে। আর এই দিনটিকে বলা হয় ঈদুল আযহা। পক্ষান্তরে সদকার জন্য কোনো নির্দিষ্ট দিন নেই, যখন ইচ্ছা তখন সদকা দেওয়া যায়। কোরবানী ও সদকার মাঝে এটিও অন্যতম একটি পার্থক্য।
হযরত আম্বিয়া আ: এবং সকল উম্মতের ঐক্যমত্যে এ আমলটি শরীঅত সিদ্ধ। বনী ইসরাঈলে সকল নবীগণের উপর এ আমলটি আবশ্যক ছিল। এ ব্যাপারে ওলামায়ে কেরামগণ ঐক্যমত আছেন। ইমাম শাফিঈ রহ: ইমাম আহমাদ ইবনে হাম্বল রহ: এবং ইমাম আবূ ইউসুফ রহ: এর মতে কোরবানী সুন্নাত। তবে ইমাম আজম রহ: এর মতে তা ওয়াজিব। এটি হল তার হুকুমগত মতানৈক্য। তবে কোরবানী শরীয়তসিদ্ধ হওয়ার ব্যাপারে কোনো দ্বিমত নেই। এটি শরীয়ত বহির্ভূত কাজ হলে হাদীস শরীফে কেন এর গুনাগুণ বর্ণনা করা হল?
হযরত সাহাবায়ে কিরাম রা: বলেন, রাসূল সা: আমাদেরকে নির্দেশ দিয়েছেন, আমরা যেন কোরবানীর পশু ক্রয়ের সময় তার চোখ, কান ভালো করে দেখে নেয়। যে পশু কান কাটা, আমরা যেন তা কোরবানী না করি। যে পশুর কানে ছিদ্র আছে, তা-ও যেন আমরা কোরবানীর না করি। এরূপ আরো অনেক গুনাগুণ বর্ণনা করা হয়েছে। যা দ্বারা এ কথা স্পষ্ট হয়ে উঠে যে, কোরবানী এবং সদকা পৃথক দু’টি আমল। তাই এতে সদকার আহকাম থেকে বিরত থাকা আবশ্যক। এ ছাড়া গোটা উম্মত আজ পর্যন্ত কোনো রূপ মতানৈক্য ছাড়া এ আমলটি করে আসছে। আর এ কথা স্বতসিদ্ধ যে, তা’আমুলে উম্মত (বা উম্মতের কোনো বিষয় নিয়মিত পালন) অন্যতম বড় দলিল। (খুতুবাতে হাকীমুল ইসলাম: 2/327
প্রতি বছর কোরবানী করা সকল সামর্থবান মুসলমানের জন্য আবশ্যক করা হয়েছে হযরত ইবরাহীম আ: এর সেই অবিষ্মরনীয় ঘটনারর স্মারক হিসেবে। সুতরাং এ কথা ষ্পষ্ট যে, পশুর মূল্য সদকা করা বা অন্য কোনো নেককাজে লাগিয়ে দেয়া কখনোই কোরবানীর আমলের সমকক্ষ হবে না। যেমনি রোযার বদলে হজ্জ কিংবা যাকাতের পরিবর্তে হজ্জ যথেষ্ট হয় না, ঠিক তদ্রুপ কোরবানীর বদলায় সদকা যথেষ্ট হবে না। কোনো ব্যক্তি যদি তার সকল অর্থ আল্লাহ তাআলার রাস্তায় খরচ করে দেয়, তথাপি িএকটি নামাযের ফিরিযা আদায় হবে না। তদ্রুপ যত অর্থই খরচ করা হোক হযরত ইবরাহীম আ: এর স্মরণের উদ্দেশ্যে যে আমল, তা আদায় হবে না এবং কোরবানীর ওয়াজিবও আদায় হবে না।
সূত্র: তারিখে কোরবানী: ১৮, মুফতি শফী রহ:
হযরত আম্বিয়া আ: এবং সকল উম্মতের ঐক্যমত্যে এ আমলটি শরীঅত সিদ্ধ। বনী ইসরাঈলে সকল নবীগণের উপর এ আমলটি আবশ্যক ছিল। এ ব্যাপারে ওলামায়ে কেরামগণ ঐক্যমত আছেন। ইমাম শাফিঈ রহ: ইমাম আহমাদ ইবনে হাম্বল রহ: এবং ইমাম আবূ ইউসুফ রহ: এর মতে কোরবানী সুন্নাত। তবে ইমাম আজম রহ: এর মতে তা ওয়াজিব। এটি হল তার হুকুমগত মতানৈক্য। তবে কোরবানী শরীয়তসিদ্ধ হওয়ার ব্যাপারে কোনো দ্বিমত নেই। এটি শরীয়ত বহির্ভূত কাজ হলে হাদীস শরীফে কেন এর গুনাগুণ বর্ণনা করা হল?
হযরত সাহাবায়ে কিরাম রা: বলেন, রাসূল সা: আমাদেরকে নির্দেশ দিয়েছেন, আমরা যেন কোরবানীর পশু ক্রয়ের সময় তার চোখ, কান ভালো করে দেখে নেয়। যে পশু কান কাটা, আমরা যেন তা কোরবানী না করি। যে পশুর কানে ছিদ্র আছে, তা-ও যেন আমরা কোরবানীর না করি। এরূপ আরো অনেক গুনাগুণ বর্ণনা করা হয়েছে। যা দ্বারা এ কথা স্পষ্ট হয়ে উঠে যে, কোরবানী এবং সদকা পৃথক দু’টি আমল। তাই এতে সদকার আহকাম থেকে বিরত থাকা আবশ্যক। এ ছাড়া গোটা উম্মত আজ পর্যন্ত কোনো রূপ মতানৈক্য ছাড়া এ আমলটি করে আসছে। আর এ কথা স্বতসিদ্ধ যে, তা’আমুলে উম্মত (বা উম্মতের কোনো বিষয় নিয়মিত পালন) অন্যতম বড় দলিল। (খুতুবাতে হাকীমুল ইসলাম: 2/327
প্রতি বছর কোরবানী করা সকল সামর্থবান মুসলমানের জন্য আবশ্যক করা হয়েছে হযরত ইবরাহীম আ: এর সেই অবিষ্মরনীয় ঘটনারর স্মারক হিসেবে। সুতরাং এ কথা ষ্পষ্ট যে, পশুর মূল্য সদকা করা বা অন্য কোনো নেককাজে লাগিয়ে দেয়া কখনোই কোরবানীর আমলের সমকক্ষ হবে না। যেমনি রোযার বদলে হজ্জ কিংবা যাকাতের পরিবর্তে হজ্জ যথেষ্ট হয় না, ঠিক তদ্রুপ কোরবানীর বদলায় সদকা যথেষ্ট হবে না। কোনো ব্যক্তি যদি তার সকল অর্থ আল্লাহ তাআলার রাস্তায় খরচ করে দেয়, তথাপি িএকটি নামাযের ফিরিযা আদায় হবে না। তদ্রুপ যত অর্থই খরচ করা হোক হযরত ইবরাহীম আ: এর স্মরণের উদ্দেশ্যে যে আমল, তা আদায় হবে না এবং কোরবানীর ওয়াজিবও আদায় হবে না।
সূত্র: তারিখে কোরবানী: ১৮, মুফতি শফী রহ:
মন্তব্যসমূহ
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন